শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০৬ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
টেকনাফ ছাড়াও এবার নতুন করে উখিয়া-নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ভেসে আসছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ চকরিয়ায় জেলা পরিষদের জমিতে নির্মিত আওয়ামী লীগের অফিস উচ্ছেদ সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিটি গঠণ সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে কক্সবাজার শহরে এসে সেন্টমার্টিন দ্বীপবাসির সড়ক অবরোধ পাহাড়ী আস্তানা থেকে মালয়েশিয়া পাচারকালে শিশুসহ ৩১ জন উদ্ধার, দুই দালাল আটক সাবের মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর পিএস ফিরোজ কক্সবাজারে গ্রেপ্তার মিয়ানমারের বাঘগুনা খালের পাশে রয়েছে নিমার্ণ সামগ্রী ও দুইটি ট্রলার, মাঝি-মাল্লা সহ ১১ জনের হদিস নেই মিয়ানমারের উপজাতি সম্প্রদায়ের ৬৫ নাগরিকের অনুপ্রবেশ চকরিয়ায় কিশোরকে ছুরিকাঘাত : আটক ৪ চকরিয়ায় ফেরিওয়ালার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

রাষ্ট্রিয় মার্যাদার পর চির নিন্দ্রায় শায়িত বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন আব্দুস সোবহান

নিজস্ব প্রতিবেদক : মুক্তিযুদ্ধকালীন কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার কমান্ডার, সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন আব্দুস সোবহানকে রাষ্ট্রিয় গার্ড অফ অনার প্রদানের পর চির নিন্দ্রায় শায়িত করা হয়েছে।

শনিবার বিকাল ৩ টায় তাঁর প্রতিষ্ঠিত মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাযার নামাজ শেষে রাষ্ট্রের পক্ষে গার্ড অফ অনার প্রদান করেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানবির হোসাইন। এরপর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, প্রশাসনিক ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের পক্ষ থেকে গার্ড অফ অনার প্রদান করা হয়। এরপর জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তানকে গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থাণন চির নিন্দ্রায় শায়িত করা হয়।

জানাযা পূর্বে বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন আব্দুস সোবহানকে শ্রদ্ধা জানিয়ে স্মৃতিচারণমুলক বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক, পেশাজীবী নেতবৃন্দ।

শুক্রবার রাত ৯ টায় হলদিয়া পালং ইউনিয়নের পশ্চিম মরিচ্যার নিজ বাসভবনে তিনি পাড়ি জমান না ফেরার দেশে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৮২ বছর। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বার্ধক্যজনিত নানান রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ পুত্র ও ৪ কন্যাসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।

মুক্তিযুদ্ধে ১ নম্বর সেক্টরের অধীনে আব্দুস সোবহান কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার কমান্ডার ছিলেন। কয়েকটি সম্মুখযুদ্ধে তাঁর নেতৃত্ব পরিচালিত মুক্তিযোদ্ধাদের দলটি বীরত্বপূর্ণ সফলতাও পান। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য স্বাধীনতা লাভের সরকার তাঁকে সেনাবাহিনীর সম্মানসূচক ‘ক্যাপ্টেন’ পদমর্যাদার স্বীকৃতি দেন।

মুক্তিযুদ্ধে বিজয় লাভের প্রাক্কালে ১৯৭১ সালের ১২ ডিসেম্বর আব্দুস সোবহানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল জিপগাড়ী নিয়ে জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে কক্সবাজার শহরে প্রবেশ করে। ওইদিন বিকালে ঐতিহাসিক কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরী ও ইন্সটিটিউটের শহীদ দৌলত ময়দানে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে কক্সবাজারকে শত্রুমুক্ত ঘোষণা করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888