শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০১ পূর্বাহ্ন
বিশেষ প্রতিবেদক : নির্বাচনে আসন ছাড়ের বিষয় নিয়ে আওয়ামী লীগের কাছে শরিক ও মিত্রদলগুলোর আলোচনায় ১৪ দলীয় জোটের শরিক, জাতীয় পার্টি (জাপা) ও নির্বাচনে অংশ নেওয়া কয়েকটি দলকে সর্বোচ্চ ৪০ থেকে ৪৫টির মতো আসনে ছাড় দিতে সম্মত হয়েছে। এতে কক্সবাজার ১ চকরিয়া পেকুয়া আসনে ঋণখেলাপির দায়ে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী সালাহ উদ্দিন আহমদের মনোনয় পত্র বাতিল থাকায় কপাল খুলেতে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহীম বীরপ্রতীকের। এই আসনটি আওয়ামীলীগের সমর্থন পাচ্ছেন তিনি। ফলে বদলে যাচ্ছে এই আসনটির নির্বাচনের পরিস্থিতি।
কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী কক্সবাজার জেলা আওয়ামিলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমেদ (সিআইপি) সহ ১৩ জন মনোনয়ন পত্র সংগ্রহের পর জমা করেছিলেন নির্বাচন করার লক্ষ্যে। ৩ ডিসেম্বর বাছাইকালে রিটার্নিং অফিসারের দপ্তরে ৫ জন প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিল হয়। তাদের মধ্যে আওয়ামিলীগের প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদ সিআইপি নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন। শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে আপিল শুনানির পর সালাহউদ্দিন আহমেদের প্রার্থীতা বাতিল আদেশ বহাল রাখেন। একইদিন জেপি’র প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সংসদ সদস্য সালাহউদ্দীন মাহমুদ নিজের ফেসবুক আইডিতে লিখে ঘোষণা দেন তিনি নির্বাচনে অংশ নেবেন না। ১৭ ডিসেম্বর প্রার্থীতা প্রত্যাহার করবেন। তিনিও মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক চেয়েছিলেন। এতে একজন বাতিল আরেকজন প্রত্যাহারের ঘোষণা পর শনিবার রাতে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সভাপতি (বহিষ্কৃত) মেজর জেনারেল (অব) বীরপ্রতীক সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহীমকে সমর্থনের বিষয়টি চূড়ান্ত করেছে আওয়ামীলীগ।
এ আসনে মনোনয়ন পত্র বৈধ হয়েছে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, মহাসচিব আবদুল আউয়াল মামুন, জাতীয় পার্টির এ. এইচ. সালাউদ্দীন মাহমুদ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মুহাম্মদ বেলাল উদ্দিন, ওয়ার্কার্স পার্টির আবু মোহাম্মদ বশিরুল আলম, জাতীয় পার্টির হোসনে আরা, বর্তমান সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাফর আলম, এমপি জাফরের পুত্র তানভীর আহমদ সিদ্দিকী তুহিনের।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply