শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১২ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজারের রামুর বাসিন্দা পরিচয়ে চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় কর্মচারি হিসেবে চাকুরি নিয়ে ছিলেন রোহিঙ্গা যুবক মোহাম্মদ নুর। চাকুরির সুবাধে মালিকের পরিবারের সদস্যের সাথে সুসর্ম্পকও তৈরি করেন। মালিকের ৭ বছরের শিশু পুত্র রোহিঙ্গা যুবককে ডাকতেন ভাইয়া বলে। আর দেড় মাসের ছেড়ে দিয়ে ফেরার সময় সেই শিশুটিকে অপহরণ করে নিয়ে আসা হয়েছিল কক্সবাজারে। কক্সবাজারের কলাতলীর সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পূর্ব পার্শ্বে প্রিন্স রিসোর্টের এক কক্ষে জিম্মি করে দাবি করা হয়েছিল ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ। যদিও ২ দিন পরে প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ সেই শিশুটিকে উদ্ধার করেছে। একই সঙ্গে আটক করা হয়েছে রোহিঙ্গা যুবক মোহাম্মদ নুরকেও।
সোমবার দুপুর ১২ টায় কক্সবাজার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম।
আটক মোহাম্মদ নুর কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী ৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শাহ আলমের ছেলে।
উদ্ধার হওয়া শিশু আব্দুল্লাহ আল মিনহাজ, চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার চুনতি বাগানেরর ফরিদুল আলমের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম জানিয়েছেন, দেড় মাস আগে মোহাম্মদ নুরকে চুনতির ফরিদুল আলম তাঁর মুরগির ফার্মের কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ দেন। সেখানেই মালিকের শিশুকে অপহরণের পরিকল্পনার নেন রোহিঙ্গা মোহাম্মদ নুর। কাজের সুবাধে পরিবারের এবং শিশুটির সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলে এবং শিশুটি নুরকে ভাইয়া বলে ডাকতে শুরু করে। গত ৭ ডিসেম্বর মোহাম্মদ নুর মালিককে জানিয়ে দেন তিনি আর কাজ করবেন না। মালিকও নুরকে তার বকেয়া পরিশোধ করে দেন। পরের দিন ৮ ডিসেম্বর নুর জামা কাপড় নেয়ার কৌশলে শিশুকে ট্রেন দেখাবে বলে অপহরণ করে কক্সবাজারে নিয়ে আসে।
পুলিশ সুপার জানান, এর পর ফরিদুল আলমের ফোনে অপহরণের কথা জানিয়ে মুক্তিপণ বাবদ ৫ লাখ টাকা দাবি করেন। ফরিদুল আলম বিকাশ মাধ্যমে ৪০ হাজার টাকাও দেন। নুর বাকী টাকা প্রদানের জন্য ফরিদুলকে কক্সবাজার আসতে বলেন। এর মধ্যে ফরিদুল ৮ ডিসেম্বর লোহাগাড়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। সেই ডায়েরির সূত্র ধরে কক্সবাজার জেলা পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তায় কলাতলীর সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পূর্ব পার্শ্বে আবাসিক প্রতিষ্ঠান প্রিন্স রিসোর্টের ১০৩ নং কক্ষ থেকে শিশুটি উদ্ধার করে রোহিঙ্গা যুবককে আটক করেছে।
মো. মাহফুজুল ইসলাম জানান, নুরের বিকাশে ২০ হাজার টাকা পাওয়া গেছে। এব্যাপারে লোহাগাড়া থানায় নিমিত মামলা হবে।
এসপি বলেন, রোহিঙ্গারা যেন কোনভাবেই চাকুরি না দেয়া হয় এর জন্য পুলিশ নানাভাবে কাজ করছেন। পুলিশের নিয়মিত অভিযানে রোহিঙ্গাদের আটক করে ক্যাম্পেও ফের পাঠানো হচ্ছে।
শিশুর পিতা ফরিদুল আলম জানান, মোহাম্মদ নুর নিজকে কক্সবাজারের রামুর বাসিন্দা বলে চাকুরি নিয়ে ছিল। পরে রোহিঙ্গা নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে বিদায় করা হয়। বেতনের টাকা দেয়ার পরও তার ছেলে অপহরণ করে এ যুবক।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply