শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০২ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। দিনব্যাপী ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী সকল শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস খাওয়ানো হবে। এ দিন কক্সবাজার জেলায় ৪ লাখ ৮১ হাজার ৮১১ শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল। তবে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১০ থেকে ১৪ ডিসেম্বর ৫দিন ব্যাপী চলবে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ১লাখ ৫২ হাজার ৩৫৭ শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাসুল। ৬ থেকে ১২ মাস বয়সের নিচে শিশুদের নীল রংঙ্গের ক্যাপসুল দেওয়া হবে। ১ থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের লাল রংঙ্গের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার জেলা ইপিআই কনফারেন্স রুমে সাংবাদিকদের সাথে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন প্রেস ব্রিফিং সভায় এসব তথ্য জানান কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা: বিপাশ খিসা। জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন সঠিক বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মসজিদ, মন্দিরে প্রচারনা ছাড়াও জেলা ব্যাপী মাইকিং করে প্রচারনা চালানো হবে বলেও জানান তিনি।
কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা: বিপাশ খিসা জানান, কক্সবাজার জেলায় ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৫৮ হাজার ২০৯ শিশু ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৪লাখ ২৩ হাজার ৬০২ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস খাওয়ানো হবে। জেলায় স্থায়ী, অস্থায়ী ও ভ্রাম্যমান সহ ১৮১১টি টিকাদান কেন্দ্রে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস খাওয়ানো হবে। কোনো শিশু যেন টিকা খাওয়া থেকে বাদ না পড়ে সে জন্য রেল স্টেশন, বাস স্টেশন ও সমুদ্র সৈকত এলাকায় ভ্রাম্যমান ১৭টি টিকাদান কেন্দ্র থাকবে। এসময় ২৩৪ জন তত্ত্বাবধায়ক, ২২৫ জন স্বাস্থ্য সহকারী, ১৭৩ জন পরিবার কল্যান সহকারী ও ৫ হাজার ৪০৬ জন সেচ্ছাসেবক দ্বায়িত্ব পালন করবেন।
সিভিল সার্জন বলেন, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আলাদাভাবে ১০ থেকে ১৪ ডিসেম্বর ৫দিন ব্যাপী উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার সহায়তায় চলবে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ১লাখ ৫২ হাজার ৩৫৭ শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাসুল। এর মধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ১৫ হাজার ৬৬৫ শিশু ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ১ লাখ ৩৬ হাজার ৬৯২ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস খাওয়ানো হবে। ক্যাম্পে ৪২১ টি টিমে ৯০০ সেচ্ছাসেবক বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস খাওয়ানো হবে। ক্যাম্পে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস খাওয়ানোর পাশাপাশি পুষ্টি বার্তা প্রদান, তীব্র অপুষ্ট শিশু শনাক্ত করে সমন্বিত পুষ্টি কেন্দ্রে পাঠানো হবে। এ জন্য ক্যাম্পে ৪৫টি সমন্বিত পুষ্টি কেন্দ্র থাকবে।
এ সময় বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করেন, কক্সবাজারের সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা: শাহ ফাহিম আহমদ ফয়সল ও ডা: কণিনীকা দস্তীদার। উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজার সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: রাদিয়া আফরোজ, জেলা ইপিআই সুপার সাইফুল ইসলাম, ইউনিসেফ প্রতিনিধি মো: শাহ আলম।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply