শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০৯ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
টেকনাফ ছাড়াও এবার নতুন করে উখিয়া-নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ভেসে আসছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ চকরিয়ায় জেলা পরিষদের জমিতে নির্মিত আওয়ামী লীগের অফিস উচ্ছেদ সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিটি গঠণ সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে কক্সবাজার শহরে এসে সেন্টমার্টিন দ্বীপবাসির সড়ক অবরোধ পাহাড়ী আস্তানা থেকে মালয়েশিয়া পাচারকালে শিশুসহ ৩১ জন উদ্ধার, দুই দালাল আটক সাবের মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর পিএস ফিরোজ কক্সবাজারে গ্রেপ্তার মিয়ানমারের বাঘগুনা খালের পাশে রয়েছে নিমার্ণ সামগ্রী ও দুইটি ট্রলার, মাঝি-মাল্লা সহ ১১ জনের হদিস নেই মিয়ানমারের উপজাতি সম্প্রদায়ের ৬৫ নাগরিকের অনুপ্রবেশ চকরিয়ায় কিশোরকে ছুরিকাঘাত : আটক ৪ চকরিয়ায় ফেরিওয়ালার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

নিষেধাজ্ঞার পর ইলিশের সন্ধানে সাগরে জেলেদের যাত্রা

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইলিশ প্রজনন মৌসুমে সাগরে মাছ ধরার উপর ২২ দিন সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে বৃহস্পতিবার ২ নভেম্বর মধ্যরাতে। কিন্তু আর অল্প সময় অপেক্ষা করতে রাজী নন জেলেরা। তাই বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে ট্রলার নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যাত্রা দিয়েছে জেলেরা। যা ঘীরে কক্সবাজারের জেলে পল্লীগুলোতে চলছে উৎসবের আমেজ। জেলে, ট্রলার মালিক ও মৎস্য ব্যবসায়িদের আশা; জালে ধরা পড়বে প্রচুর ইলিশসহ সামুদ্রিক অন্যান্য প্রজাতির মাছ। এতে নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ের ক্ষতি অনেকটা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।

বৃহস্পতিবার কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটস্থ বাঁকখালী নদীর মোহনায় দেখা মিলে কক্সবাজারের জেলে পল্লীগুলোতে চলছে সাগরে মাছ ধরতে যাওয়ার প্রস্তুতি। আর জাল, চাল-ডাল-তেলসহ নানা উপকরণ এবং জ্বালানী তেল নিয়ে জেলে ও ট্রলার মালিকদের বৗস্ত সময়।

মধ্যরাতের পর এসব ট্রলার যাত্রা দেয়া কথা থাকলেও অনেকেই যাত্রা দিয়েছে দুপুরের পর। জেলেরা বলছেন, যাত্রা দেয়া গভীর সাগরে পৌঁছতেই মধ্যরাত হয়ে যাবে। মুলত তখনই জাল ফেলে মাছ ধরা শুরু করবেন।

ট্রলার মালিক জয়নাল আবেদিন বলছেন, নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় সাগরে মাছ ধরতে যাওয়ার জন্য ইতিমধ্যে তারা সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। আবহাওয়া পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় গত ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার পর তারা কাঙ্খিত পরিমান ইলিশসহ অন্য প্রজাতির মাছ ধরতে পারেননি। এবার সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার আশা তারা বুক বেঁধেছেন। ট্রলার যাত্রা দেয়া শুরু করেছে ইতিমধ্যে।

কক্সবাজার দর উপজেলার জৈষ্ঠ্য মৎস্য কর্মকর্তা তারাপদ চৌহান বলছেন, মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞাকালীন নিবন্ধিত জেলেদের সরকারিভাবে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। জেলার আর কিছু জেলে অনিবন্ধিত রয়েছে। ভবিষ্যতে এসব জেলের নিবন্ধনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে। তারা আশা করছেন, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হওয়ায় চলতি মৌসুমে ইলিশসহ অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ ধরার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব হবে।

মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, কক্সবাজার জেলায় জেলের সংখ্যা ৫০ হাজারের বেশী। এর মধ্যে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ২২ সহস্রাধিক। আর নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত ট্রলারের সংখ্যা অন্তত ৬ হাজার।

কক্সবাজার মৎস্য অবতারণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মো: বদরুদ্দোজা জানান, সফলভাবে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের ফলে সাগরে জেলেদের জালে ধরা পড়বে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশসহ নানা প্রজাতির মাছ।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888