শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০০ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
টেকনাফ ছাড়াও এবার নতুন করে উখিয়া-নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ভেসে আসছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ চকরিয়ায় জেলা পরিষদের জমিতে নির্মিত আওয়ামী লীগের অফিস উচ্ছেদ সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিটি গঠণ সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে কক্সবাজার শহরে এসে সেন্টমার্টিন দ্বীপবাসির সড়ক অবরোধ পাহাড়ী আস্তানা থেকে মালয়েশিয়া পাচারকালে শিশুসহ ৩১ জন উদ্ধার, দুই দালাল আটক সাবের মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর পিএস ফিরোজ কক্সবাজারে গ্রেপ্তার মিয়ানমারের বাঘগুনা খালের পাশে রয়েছে নিমার্ণ সামগ্রী ও দুইটি ট্রলার, মাঝি-মাল্লা সহ ১১ জনের হদিস নেই মিয়ানমারের উপজাতি সম্প্রদায়ের ৬৫ নাগরিকের অনুপ্রবেশ চকরিয়ায় কিশোরকে ছুরিকাঘাত : আটক ৪ চকরিয়ায় ফেরিওয়ালার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

রামপুর সমিতির সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি ও মাছ লুটের অভিযোগ

চকরিয়া প্রতিবেদক : চকরিয়া উপজেলার চিংড়িজোন রামপুর সমবায় কৃষি উপনিবেশ সমিতির মালিকানাধীন চিংড়ি ঘের থেকে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নবী হোছাইন চৌধুরীর বিরুদ্ধে। দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দেয়ায় সর্বশেষ শনিবার (১৪ অক্টোবর) রাতে সমিতির ঘেরে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দিয়ে হামলা তাণ্ডব চালিয়ে মাছ লুট করে নিয়ে গেছে। এখন চাঁদা না দিলে সমিতির চিংড়ি ঘের জবরদখলে নেবে বলে হুমকি ধমকি দিচ্ছে।

রোববার (১৫ অক্টোবর) বিকালে চকরিয়া থানা সেন্টারস্থ রামপুর সমিতির কার্যালয় সাংবাদিক সম্মেলনে সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তুলে ধরে বক্তব্য দিয়েছেন রামপুর সমিতির সম্পাদক শহিদুল ইসলাম লিটন।

এসময় সাংবাদিক সম্মেলনে সমিতির সভাপতি আবু জাফর, সহসভাপতি আলী আজম ছাড়াও ব্যবস্থাপনা কমিটি ও সমিতির নারী পুরুষ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সাংবাদিক সম্মেলনে রামপুর সমবায় কৃষি সমিতির সম্পাদক শহিদুল ইসলাম লিটন বলেন, ১৫০০ সদস্য নিয়ে রামপুর সমবায় কৃষি উপনিবেশ সমিতির পথচলা। সমিতির মালিকানাধীন বিপুল পরিমাণ চিংড়ি জমি থাকলেও বর্তমানে ভোগদখলে রয়েছে ৯০ একর আয়তনের চিংড়ি ঘের। সমিতির একাধিক সদস্য সেখানে বাড়িঘর তৈরি করে ওই ৯০ একর ঘেরে মৎস্য চাষ করে আসছেন।

কিন্তু কয়েকবছর ধরে চিংড়িজোন এলাকার কতিপয় সন্ত্রাসী চক্র সমিতির চাষযোগ্য চিংড়ি ঘের জবরদখল নিতে অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে।

সমিতির সভাপতি ও সম্পাদক বলেন, ২০২০ সাল থেকে সমিতির চিংড়ি ঘের ও বাড়িঘর নিয়ে সেখানে অবস্থানরত সমিতির সদস্যদের পরিবারের নিরাপত্তার কথা ভেবে আমরা অনেকটা নিরুপায় হয়ে সন্ত্রাসী চক্রকে তাদের দাবিকৃত বার্ষিক চাঁদা দিয়ে ঘেরটি শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগদখলে আছি। চাঁদার টাকা না দিলে সন্ত্রাসীরা হানা দিয়ে ঘের থেকে মাছ ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

এরই অংশ হিসেবে এবছর চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নবী হোছাইন চৌধুরী সমিতির কাছে ১৬ লাখ টাকা দাবি করেন। আমরা ইতোমধ্যে তাকে তিনদফায় ৬ লাখ টাকা দিয়েছি। এখন তিনি আরও ১০ লাখ টাকা দাবি করছেন। ওই টাকা না দেয়ায় ইতোমধ্যে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে দুইদফা হামলা চালিয়ে সমিতির ঘের থেকে লাখ লাখ টাকার মাছ লুটে নিয়ে গেছে। সর্বশেষ শনিবার (১৪ অক্টোবর) রাতে ২০/২৫ জনের একটি অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দল সমিতির চিংড়ি ঘেরে হামলা চালিয়ে সেখানে বাড়িঘর নিয়ে অবস্থানরত সমিতির সদস্যদের জিন্মি করে মাছসহ বিপুল পরিমাণ মালামাল লুটে নিয়ে গেছে।

সমিতির সম্পাদক শহিদুল ইসলাম লিটন বলেন, শনিবার রাতে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা সমিতির ঘেরে হামলা চালালে তাৎক্ষণিক আমরা চকরিয়া থানা পুলিশ ও পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে সহযোগিতা চাই। কিন্তু থানা প্রশাসন সকালে থানায় এসে অভিযোগ জমা দিতে বলে দায়িত্ব শেষ করেন। এই সুযোগে রাতের মধ্যে ঘেরের সমুদয় মাছ লুটে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন অস্ত্রধারীরা।

রামপুর সমিতির সভাপতি আবু জাফর, সম্পাদক শহিদুল ইসলাম লিটন ছাড়াও সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত সদস্যরা রামপুর সমিতির চিংড়ি ঘের জবরদখল মুক্ত রাখতে ও চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী চক্রের কবল থেকে নিস্তার পেতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

অভিযোগের ব্যাপারে সাহারবিল ইউপি চেয়ারম্যান নবী হোছাইন চৌধুরী জানান, সংবাদ সম্মেলন করে দেয়া বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমুলক। কর্মচারী পাঠিয়ে ৯০ একর চিংড়ি ঘের দখলে নেয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি বলেন,আমরা কয়েকজন মিলে রামপুর সমিতি থেকে ৯০ একর চিংড়ি ঘের ছয় অর্থবছরের জন্য লাগিয়ত নিয়েছিলাম। কিন্তু ঘেরের মধ্যে সমিতির কিছু লোক বসতঘর তৈরি করে বসবাস করার পাশাপাশি তারা প্রতিনিয়ত মাছ চুরি করায় দু’অর্থবছরে বিপুল টাকা লোকসান গুনতে হয়েছে। এই তথ্য সমিতির নেতৃবৃন্দকে জানালে তারা অবশিষ্ট ৪ অর্থবছরের টাকা প্রতিবছর ১৭ লাখ করে দেয়ার স্টাম্প চুক্তিতে নেয়।

চেয়ারম্যানের দাবী চার অর্থবছরের মধ্যে বিগত অর্থবছরে আমাদের ১৭ লাখ টাকা দিলেও চলতি অর্থবছরে মাত্র দু’দফায় ৪ লাখ টাকা দিয়েছে। গত ১ অক্টোবর অবশিষ্ট টাকা দেয়া কথা থাকলেও ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত দেয়নি। তাদের টালবাহানায় ফের আমরা কর্মচারী পাঠিয়ে চিংড়ি ঘের দখলে নিয়েছি। এখানে কোন চাঁদাবাজি বা লুটপাটের ব্যাপার নেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888