শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১০:১৫ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
রাখাইন রাজ্যের বর্তমান অবস্থা রোহিঙ্গাদের নিরাপদভাবে প্রত্যাবাসন করা সম্ভব না : ড. খলিলুর রহমান আমরা ধর্মচর্চা করবো,অনুশীলন করবো কিন্তু বিদ্বেষ পোষণ করবোনা : ধর্ম উপদেষ্টা কক্সবাজার-মহেশখালী নৌ রুটে পরীক্ষামুলক সী ট্রাক চলাচল শুরু চকরিয়ায় বাস-অটোরিক্সার সংঘর্ষে নিহত ২ বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূতের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন মঙ্গল জলে মাতোয়ারা রাখাইন তরুণ-তরুণী টেকনাফের ‘হ্যান্ড গ্রেনেড’টি বিস্ফোরণ করে নিষ্ক্রিয় করল সেনা বাহিনী মুক্তিপণ পেয়েও অপহৃত ভাগিনাকে হত্যা; মামা গ্রেপ্তার প্রতিবেশী দেশ ভারতের সাথে মিল রেখে ১৫ এপ্রিল থেকে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ঈদগাঁওতে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় কিশোর নিহত

অপহৃত যুবক ফিরেছেন ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে

টেকনাফ প্রতিবেদক : টেকনাফের পাহাড়ে অপহৃত যুবক মাহমুদুল হক (৩০) কে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তিনি মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫ টায় নিজ ঘরে ফিরেছেন।

অপহরণকারি চক্রের হাতে ৫০ হাজার মূক্তিপণ দেয়ার পর ছেলেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুবকের মা শামসুন্নাহার।

তিনি জানান, স্থানীয় এলাকাবাসী ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা চাঁদা তুলে ৫০ হাজার টাকা অপহরণকারিদের পাঠানো হয়। এরপরই ছেলেকে ফেরত পাঠিয়েছে। তার ছেলেকে প্রচুর মারধর ও নির্যাতন করা হয়েছে। ছেলে অসুস্থ দাবি মায়ের।

বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ফরিদ উল্লাহ জানিয়েছেন, অপহৃত যুবক মাহমুদুল হককে ছেড়ে দেয়ার পর ঘরে ফিরেছেন। পরিবারের পক্ষে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তবে কাকে, কোথায় এ টাকা দিয়েছেন তা পরিবারের সদস্যরা বলছেন না।

বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক মো মশিউর রহমান বলেন, তাকে উদ্ধার করার জন্য পুলিশের দুটি দল বিভিন্ন স্থানে অভিযান করেছিল। অভিযানের চাপে পড়ে সন্ত্রাসীরা তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। তবে মুক্তিপণের বিষয়টি তারা জানে না। যুবকের কাছ থেকে তথ্য নেওয়া হচ্ছে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মাহমুদুল হক উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিষবনিয়া গ্রামের আলী আহমদের ছেলে।

শনিবার সকালে উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিষবনিয়া পাহাড়ে কঞ্চি (ছোট গাছ) কাটতে গিয়ে ওই যুবক অপহরণের শিকার হন। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পর মুঠোফোনে ওই যুবকের পরিবারের কাছে মুক্তিপণ হিসেবে ২০ লাখ টাকা দাবি করেছিল। সোমবার দুপুরে পরিবারের সদস্যের কাছে আবারও ফোন করে মুক্তিপনের দাবি ২০ লাখ টাকা থেকে কমিয়ে আড়াই লাখ টাকা পরিশোধের কথা বলা হয়েছিল।

এদিনয়ে গত সাড়ে ৯ মাসে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৮৮ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৪৪ জন স্থানীয় বাসিন্দা, বাকি ৪৪ জন রোহিঙ্গা। অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে ৪০ জন মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন বলে ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888