শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
টেকনাফ ছাড়াও এবার নতুন করে উখিয়া-নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ভেসে আসছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ চকরিয়ায় জেলা পরিষদের জমিতে নির্মিত আওয়ামী লীগের অফিস উচ্ছেদ সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিটি গঠণ সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে কক্সবাজার শহরে এসে সেন্টমার্টিন দ্বীপবাসির সড়ক অবরোধ পাহাড়ী আস্তানা থেকে মালয়েশিয়া পাচারকালে শিশুসহ ৩১ জন উদ্ধার, দুই দালাল আটক সাবের মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর পিএস ফিরোজ কক্সবাজারে গ্রেপ্তার মিয়ানমারের বাঘগুনা খালের পাশে রয়েছে নিমার্ণ সামগ্রী ও দুইটি ট্রলার, মাঝি-মাল্লা সহ ১১ জনের হদিস নেই মিয়ানমারের উপজাতি সম্প্রদায়ের ৬৫ নাগরিকের অনুপ্রবেশ চকরিয়ায় কিশোরকে ছুরিকাঘাত : আটক ৪ চকরিয়ায় ফেরিওয়ালার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

টেকনাফে পাহাড় থেকে যুবককে অপহরণের পর ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি

টেকনাফ প্রতিবেদক : টেকনাফ উপজেলায় পাহাড় থেকে মাহমুদুল হক (৩০) নামের এক যুবককে অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার সকালে উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিষবনিয়া পাহাড়ে কঞ্চি কাটতে গিয়ে ওই যুবক অপহরণের শিকার হন। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পর মুঠোফোনে ওই যুবকের পরিবারের কাছে মুক্তিপণ হিসেবে ২০ লাখ টাকা দাবি করা হয়েছে।

অপহৃত মাহমুদুল হক উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিষবনিয়া গ্রামের আলী আহমদের ছেলে।

বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ফরিদ উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, শনিবার সকালে মাহমুদুল পাহাড়ে কঞ্চি সংগ্রহ করতে গিয়ে আর ফেরেননি। রবিবার সকালে নিখোঁজ মাহমুদুলের পরিবারের কাছে অচেনা একটি মোবাইল নম্বর থেকে কল করে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে। ওই যুবকের পরিবারটি গরিব ও অসহায়। তাঁদের পক্ষে ৫ হাজার টাকা দেওয়াও সম্ভব নয়।

অপহৃত যুবকের মা শামসুন্নাহার বলেন, রবিবার সকালে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করে জানানো হয়, মাহমুদুলকে জীবিত ফেরত চাইলে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানালে ছেলের লাশ পাওয়া যাবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। ছেলের প্রাণনাশের হুমকির কথা শুনে এখন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাননি। তবে ছেলেকে উদ্ধারের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তা চেয়েছেন তিনি।

জানতে চাইলে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক মো. মশিউর রহমান বলেন, স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে শনিবার রাতে বিষয়টি শুনেছেন। রবিবার দুপুর পর্যন্ত কোনো অভিযোগ আসেনি। এরপরও বিষয়টি মাথায় রেখে পুলিশ কাজ করছে বলে তিনি জানান।

গত সাড়ে ৯ মাসে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৮৭ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৪৩ জন স্থানীয় বাসিন্দা, বাকি ৪৪ জন রোহিঙ্গা। অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ৩৯ জন মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন বলে ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888