বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৯ অপরাহ্ন
বিশেষ প্রতিবেদক : টানা ছুটিতে পাহাড় জেলা বান্দরবন ও খাগড়াছড়িতে পর্যটকের দেখা না মিললেও রাঙামাটির সাজেকের দৃশ্য ভিন্ন। যেখানে তৈরি হয়েছে ঠাঁইহীন পরিস্থিতি। বেড়াতে এসে রিসোর্ট-কটেজে কক্ষ না পেয়ে কয়েক শ পর্যটক রাস্তা, বারান্দা, স্টোর রুম, গাড়িতে রাত কাটিয়েছেন।
সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সূত্রে জানা জানা যায়, গত মঙ্গলবারের আগে রুইলুই ভ্যালির রিসোর্ট-কটেজের সব কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে যায়। বৃহস্পতি ও শুক্রবার কক্ষ বুকিং ছাড়া অন্তত পাঁচ শতাধিক পর্যটক আসেন। এর মধ্যে কিছু ফিরে গেলেও অন্তত চার শতাধিক পর্যটক রুইলুই ভ্যালিতে রয়ে যান। পর্যটকের চাপে হিমশিম খাচ্ছে রিসোর্ট মালিকরা।
রিসোর্ট মালিকরা সমিতির সূত্র বলছে, রুম না পেয়ে রাতে তাঁবু এবং স্থানীয় গ্রামগুলোর বাসা-বাড়িতে রাত কাটাচ্ছেন পর্যটকরা।
ঢাকা থেকে পনের পাচজনের একটি দলের সঙ্গে ঘুরতে এসেছেন তরুণ মো. মনির হোসেন। তিনি বলেন, ‘দুপুর থেকে রিসোর্ট-কটেজগুলোয় কক্ষ ভাড়া নেওয়ার জন্য চেষ্টা করছি, কিন্তু কোথাও খালি নেই। আমরা সবাই রাস্তায় ঘুরে রাত কাটিয়েছি। আমাদের সঙ্গে আরও অনেক পর্যটক ছিলেন। পূর্ণিমান রাত থাকায় খারাপ লাগে নি’।
সাজেক জুমঘর ইকো রিসোর্টের ব্যবস্থাপক ইয়ারং ত্রিপুরা বলেন, বৃহস্পতিবার প্রচুর পরিমাণ পর্যটক এসেছেন সাজেকে। আমাদের কটেজগুলো শতভাগ বুকিং রয়েছে। যারা বুকিং না করে এসেছিলেন তাদের রুম পেতে কষ্ট হয়েছে বলে জেনেছি।
রুইলুই ভ্যালির রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জেরি লুসাই বলেন, যারা রুম পায় নি তাদের জন্য লুসাই ক্লাব ও ত্রিপুরা পল্লীর বাসা-বাড়িতে ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি জানান, বর্তমানে ১১২টি রিসোর্ট-কটেজ রয়েছে। এসব রিসোর্ট-কটেজগুলোয় চার হাজারের বেশি অতিথি থাকতে পারেন।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আক্তার বলেন, সাজেক পর্যটন কেন্দ্রের একটি নির্দিষ্ট ধারণ ক্ষমতা আছে। ধারণক্ষমতার বেশি পর্যটক আসলেই রুম না পাওয়া বা বাইরে থাকার মত সমস্যাগুলো তৈরি হচ্ছে। বর্তমানে সাজেকের সবকটি রিসোর্ট কটেজের অনলাইন বুকিং সিস্টেম চালু আছে। তাই পর্যটকরা এডভান্স বুকিং দিয়ে আসলেই ভালো, নতুবা সমস্যায় পড়তে হয়। উপজেলা প্রশাসন থেকে পর্যটকদের প্রতি আমাদের অনুরোধ থাকবে বিশেষ করে টানা বন্ধের দিনগুলোতে সাজেকে এডভান্স বুকিং দিয়ে আসার জন্য।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply