রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৮ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
মিয়ানমারে বিস্ফোরণে মুহুর্মুহু শব্দ, টেকনাফের বসত ঘরের আঙ্গিনায় এসে পড়েছে গুলি মাকে কুপিয়ে হত্যার পর থানা এসে হাজির যুবক টেকনাফ ছাড়াও এবার নতুন করে উখিয়া-নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ভেসে আসছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ চকরিয়ায় জেলা পরিষদের জমিতে নির্মিত আওয়ামী লীগের অফিস উচ্ছেদ সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিটি গঠণ সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে কক্সবাজার শহরে এসে সেন্টমার্টিন দ্বীপবাসির সড়ক অবরোধ পাহাড়ী আস্তানা থেকে মালয়েশিয়া পাচারকালে শিশুসহ ৩১ জন উদ্ধার, দুই দালাল আটক সাবের মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর পিএস ফিরোজ কক্সবাজারে গ্রেপ্তার মিয়ানমারের বাঘগুনা খালের পাশে রয়েছে নিমার্ণ সামগ্রী ও দুইটি ট্রলার, মাঝি-মাল্লা সহ ১১ জনের হদিস নেই মিয়ানমারের উপজাতি সম্প্রদায়ের ৬৫ নাগরিকের অনুপ্রবেশ

কক্সবাজারে ডেঙ্গু আক্রান্তের ৮১.৫৮ শতাংশ রোহিঙ্গা

নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে ক্রমাগত। জেলায় আক্রান্তে মোট ডেঙ্গু রোগীর ৮১ দশমিক ৫৮ শতাংশই রোহিঙ্গা।

কক্সবাজার সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে দেয়া এক তথ্য বিবরণীতে বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রাপ্ত তথ্য বিবরণী মতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত কক্সবাজার জেলায় মোট ১৩ হাজার ৭৩৭ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। যেখানে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের ১১ জন রোহিঙ্গা। আক্রান্তের মধ্যে ১১ হাজার ২০৭ জনই রোহিঙ্গা। অপর ২ হাজার ৫২২ জন বাংলাদেশী নাগরিক।

শুধ মাত্র গত ৭ দিনে জেলায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ২৭৬ জন। যার মধ্যে নতুন রোহিঙ্গা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৮৩০ জন।

কক্সবাজার সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. শাহ ফাহিম আহমদ ফয়সাল জানিয়েছেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত বিবেচনায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও তার আশে-পাশের এলাকা ক্রমাগত অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ১, ১ (পশ্চিম), ১ (পূর্ব), ৩, ৪, ৯, ১৭ নম্বর ক্যাম্পে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত পাওয়া গেছে ৩ নম্বর ক্যাম্পে।

কক্সবাজারস্থ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের স্বাস্থ্য সমন্বয়ক ডা. আবু তোহা মো. আর. হক ভূঁইঞা জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ঘনবসতি, পরিচ্ছন্ন নালা, যেখানে সেখানে পানি জমে থাকার কারণে স্বাভাবিকভাবে মশার প্রজনন থাকে। যেখানে আগে থেকেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি। তবে বৃষ্টি কমে যাচ্ছে। ফলে ডেঙ্গু আক্রান্তও কমে যাবে।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে কক্সবাজারে মোট ১৯ হাজার ২৩১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিল। যার মধ্যে ১৫ হাজার ৬৩৬ জন রোহিঙ্গা ও ৩ হাজার ৫৮৫ জন স্থানীয়। এই এক বছরে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। যার মধ্যে রোহিঙ্গা ২৬ জন ও স্থানীয় ১৩ জন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888