বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১৮ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
টেকনাফ ছাড়াও এবার নতুন করে উখিয়া-নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ভেসে আসছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ চকরিয়ায় জেলা পরিষদের জমিতে নির্মিত আওয়ামী লীগের অফিস উচ্ছেদ সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিটি গঠণ সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে কক্সবাজার শহরে এসে সেন্টমার্টিন দ্বীপবাসির সড়ক অবরোধ পাহাড়ী আস্তানা থেকে মালয়েশিয়া পাচারকালে শিশুসহ ৩১ জন উদ্ধার, দুই দালাল আটক সাবের মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর পিএস ফিরোজ কক্সবাজারে গ্রেপ্তার মিয়ানমারের বাঘগুনা খালের পাশে রয়েছে নিমার্ণ সামগ্রী ও দুইটি ট্রলার, মাঝি-মাল্লা সহ ১১ জনের হদিস নেই মিয়ানমারের উপজাতি সম্প্রদায়ের ৬৫ নাগরিকের অনুপ্রবেশ চকরিয়ায় কিশোরকে ছুরিকাঘাত : আটক ৪ চকরিয়ায় ফেরিওয়ালার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

সাক্ষ্য-প্রমাণের অভাব : ২২ বছর আগের খুনের মামলা থেকে খালাস পেলেন এমপি জাফরসহ ১০ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজার-১ চকরিয়া-পেকুয়া আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলম সহ ১০ আসামিকে খুনের মামলা থেকে বেখসুর খালাস দিয়েছে আদালত। গত ২২ বছর আগের দায়ের হওয়া এই মামলার সকল আসামির বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযোগপত্র (চার্জশীট) দাখিল করলেও উপযুক্ত সাক্ষ্য প্রমাণের অভাবে এদের খালাস প্রদানের কথা জানিয়েছেন বিচারক।

সোমবার (২৪ জুলাই) দুপুরে আলোচিত মামলাটির রায় ঘোষণা করেন কক্সবাজার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল।

কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম ছাড়া এই মামলায় খালাস প্রাপ্তরা হলেন, কফিল উদ্দিন, মো. হাছান প্রকাশ হাছু ওরফে আছু, নুরুল ইসলাম, জিয়াবুল হক প্রকাশ মজিবুল হক প্রকাশ মনিয়া প্রকাশ মানিক প্রকাশ মানিক্যা ডাকাত, কালা মনু, এ কে খান, নুরুল হক, হাসান আলী ও জাফর আলম। রায় প্রাদনকালে সকলেই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আদালতের নথিসুত্রে জানা গেছে, ২০০১ সালের ১০ নভেম্বর চকরিয়ার মানিকপুর এলাকায় যাত্রীবাহী জীপ গাড়িতে দুর্র্ধষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতদলের গুলিতে গাড়ির হেলপার নিহত রুহুল আমিন হন। এ ঘটনায় চকরিয়া থানায় মামলা করেন চালক মো. আশরাফুল ইসলাম প্রকাশ টিটু। যার থানা মামলা নং-০৫, জিআর নং-৩৯০/২০০১, এসটি মামলা নং-১১১/২০০৩। অপরাধের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামিদের বিরুদ্ধে ২০০২ সালের ৩১ ডিসেম্বর ‘অভিযোগপত্র’ দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. আলফাজুর রহমান।

আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করার পরও আদালতে যথেষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণের অভাবে খালাস পেয়ে গেলেন সকল আাসমি।

পিপি ফরিদুল আলম জানান, ২২ বছর আগের মামলা। অনেক চেষ্টা করেও অধিকাংশ সাক্ষি আনা যায় নি। যারা হাজির হয়েছে তারাও ‘ঘটনা সম্পর্কে জানে না’ বলে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছে। রায় প্রদানকালে বিচারক বলেছেন, মামলার বাদি তার এজাহারের বক্তব্যকে সম্পূর্ণ সমর্থন করে সাক্ষ্য দেননি। উপরন্তু মামলার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষি ম্যাজিস্ট্রেট ও তদন্তকারী কর্মকর্তাকে আদালতে উপস্থাপন করে সাক্ষ্য প্রদানে রাষ্ট্রপক্ষ সমর্থ হননি। চার্জশীটভুক্ত আসমিগণ ঘটনায় জড়িত ছিল মর্মে আইনানুগভাবে নিরপেক্ষ, নির্ভরযোগ্য, বিশ্বাসযোগ্য, গ্রহণযোগ্য সাক্ষ্য-প্রমাণ দ্বারা রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে না পারায় আসামিরা বেখসুর খালাস পেয়েছেন।

জাফর আলমের পক্ষে এডভোকেট আবু সালাম ও অন্যান্য আসামিদের পক্ষে ছিলেন এডভোকেট আয়াছুর রহমান।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888