শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১৭ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’য় পরিণত হয়েছে। এজন্য কক্সবাজার সহ দেশের সকল সমুদ্রবন্দর সমুহকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারী সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাবে সাগর কিছুটা উত্তাল হয়ে উঠেছে। আর তীব্র দাবদাহ বিরাজ করছে। সৈকতে লাল হলুদ পতাকা নামিয়ে লাল পতাকা টাঙ্গানো হয়েছে।
সী সেফ লাইফ গার্ড সংস্থার সিনিয়র লাইফ গার্ড কর্মী মোহাম্মদ শুক্কুর বলেন, তীব্র দাবদাহের পাশাপাশি সাগর উত্তাল হয়ে উঠছে। আর পর্যটকদের সর্তক করতে লাল পতাকা টাঙ্গানো হয়েছে। আর পর্যটকদের হাটু পানির নিচে নামতে দেয়া হচ্ছে না।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানিয়েছেন, সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছে। সকল উপজেলার কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। জেলার উপকূলীয় এলাকার সকল সাইক্লোন শেল্টার ও বিদ্যালয় গুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ১০ লাখ ৩০ হাজার নগদ টাকা, ৪৯০ মেট্টিক টন চাল, ৭ মেট্টিক টন শুকনো খাবার, ১৯৪ বান্ডিল ঢেউ টিন মজুদ রাখা হয়েছে।
শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাশন কমিশন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার সামমছুদ্দৌজা নয়ন জানিয়েছেন, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে ৩৩ টি শরনার্থী ক্যাম্প রয়েছে। ঘুর্ণিঝড় মোখার সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে শরনার্থী ক্যাম্প গুলোতে প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তুতি সভা করেছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে বংগোপসাগরে সৃষ্ট ঘুর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে আগামী এক সপ্তাহ সাগর উত্তাল থাকবে। গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসাথে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের সতর্কতার সাথে গোসল করতে বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে সৈকতে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও লাইফ গার্ডের কর্মীদের তৎপর দেখা গেছে।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply