শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫৬ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
টেকনাফ ছাড়াও এবার নতুন করে উখিয়া-নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ভেসে আসছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ চকরিয়ায় জেলা পরিষদের জমিতে নির্মিত আওয়ামী লীগের অফিস উচ্ছেদ সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিটি গঠণ সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে কক্সবাজার শহরে এসে সেন্টমার্টিন দ্বীপবাসির সড়ক অবরোধ পাহাড়ী আস্তানা থেকে মালয়েশিয়া পাচারকালে শিশুসহ ৩১ জন উদ্ধার, দুই দালাল আটক সাবের মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর পিএস ফিরোজ কক্সবাজারে গ্রেপ্তার মিয়ানমারের বাঘগুনা খালের পাশে রয়েছে নিমার্ণ সামগ্রী ও দুইটি ট্রলার, মাঝি-মাল্লা সহ ১১ জনের হদিস নেই মিয়ানমারের উপজাতি সম্প্রদায়ের ৬৫ নাগরিকের অনুপ্রবেশ চকরিয়ায় কিশোরকে ছুরিকাঘাত : আটক ৪ চকরিয়ায় ফেরিওয়ালার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

বৈরি আবহাওয়া: উপকূলের ঘাটে ভিড় করছে কয়েক হাজার ট্রলার

বিশেষ প্রতিবেদক : ভরা মৌসুমেও কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে ইলিশ ধরতে যেতে পারছেনা জেলেরা। কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড দাবদাহ ও বৈরি আবহাওয়া এবং জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে অধিকাংশ ট্রলার কক্সবাজার উপকূলের বিভিন্ন ঘাটে নোঙর করে রয়েছে।

গত ২৩ জুলাই সামুদ্রিক মাছের প্রজনন মৌসুমের ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে বঙ্গোপসাগরে ইলিশসহ অন্যান্য মাছ ধরতে যায় কয়েক হাজার ট্রলার। প্রথম সপ্তায় ভালো ইলিশ ধরা পড়লেও গত দু সপ্তাহ ধরে আশানুরূপ ইলিশ জালে ধরা পড়েনি।

মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন,কয়েকদিনের প্রচণ্ড দাবদাহের কারণে ইলিশ গভীর সাগরের দিকে ফিরে গেছে।বৃষ্টিপাত শুরু হলেই উপকূলের কাছাকাছি ইলিশ আবার ছুটে আসবে। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে গভীর সাগরে থাকা শত শত মাছ ধরার ট্রলার কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া,চৌফলদণ্ডী,চকরিয়া,মহেশখালী,কুতুবদিয়া,পেকুয়া,টেকনাফ ও সেন্ট মার্টিনের বিভিন্ন ঘাটে ফিরে আসছে। গতকাল বুধবারও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৩ নং সর্তকতা সংকেত রয়েছে বলে জানিয়েছে কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস।

দেশের অন্যতম মৎস্য অবতরণকেন্দ্র কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট গিয়ে দেখা যায়, সেখানে অন্তত দুই হাজার মাছ ধরার ট্রলার ভেড়ানো রয়েছে। এসব ট্রলারে মাঝি-মাল্লারা আবহাওয়া পরিস্থিতি ভালো হলে সাগরে যাওয়ার জন্যে অপেক্ষা করছে।

একটি ট্রলারের মাঝি সিরাজ মিয়া বলেন, নিষেধাজ্ঞা শেষে ৭-৮দিনের রসত নিয়ে ২০ জন জেলে নিয়ে তাদের ট্রলারটি ইলিশ ধরার জন্যে সাগরে যায়। এই যাত্রায় তাদের জ্বালানি খরচও উঠে আসেনি। এখন ১০দিন ধরে ঘাটে অপেক্ষায় আছেন।

এফবি সোলেমান নামের ট্রলারের মালিক নাজেম উদ্দিন(৫২) জানান, সাগরের আবহাওয়া পরিস্থিতি খারাপের পাশাপাশি এখন জ্বালানি তেলের দামও বেড়ে গেছে। এতে সোগরে ট্রলার পাঠানো দ্বিধায় আছি। দুই দফায় তাঁর চার লাখ টাকার ওপর লোকসান হয়েছে বলে জানান।

কক্সবাজার মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির নেতা ও আড়তদার জয়নাল আবেদীন জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে ঘাটে মাছ নেই বলে চলে। সাগর উত্তাল থাকায় জেলেরাও মাছ ধরতে যেতে পারছে না।

জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে প্রায় ৬ হাজার মাছ ধরার ছোট-বড় ট্রলার রয়েছে। বৈরি আবহাওয়ার কারণে প্রায় ট্রলার এখন উপকূলের ঘাটগুলোতে নোঙর করে আছে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ বদরুজ্জামান বলেন, সামুদ্রিক মাছের প্রজননের ৬৫দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা প্রথম এক সপ্তায় আশানুরূপ মাছ পেয়েছিল। কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড গরম ও বৈরি আবহাওয়ায় জেলেরা সাগরে যেতে পারছে না। আবহাওয়া পরিস্থিতি উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি সব ধরণের নৌযান অবস্থান করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888