বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৯ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
টেকনাফ ছাড়াও এবার নতুন করে উখিয়া-নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ভেসে আসছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ চকরিয়ায় জেলা পরিষদের জমিতে নির্মিত আওয়ামী লীগের অফিস উচ্ছেদ সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিটি গঠণ সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে কক্সবাজার শহরে এসে সেন্টমার্টিন দ্বীপবাসির সড়ক অবরোধ পাহাড়ী আস্তানা থেকে মালয়েশিয়া পাচারকালে শিশুসহ ৩১ জন উদ্ধার, দুই দালাল আটক সাবের মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর পিএস ফিরোজ কক্সবাজারে গ্রেপ্তার মিয়ানমারের বাঘগুনা খালের পাশে রয়েছে নিমার্ণ সামগ্রী ও দুইটি ট্রলার, মাঝি-মাল্লা সহ ১১ জনের হদিস নেই মিয়ানমারের উপজাতি সম্প্রদায়ের ৬৫ নাগরিকের অনুপ্রবেশ চকরিয়ায় কিশোরকে ছুরিকাঘাত : আটক ৪ চকরিয়ায় ফেরিওয়ালার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

পর্যটকদের লাগেজ ধরে টানাটানি, গোপন কমিশনে রুম : ১৯ দালাল আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক : গাড়ি থেকে নামতেই পর্যটকদের লাগেজ ধরে টানাটানি, তারপর গোপন কমিশনে অতিরিক্তমূল্যে হোটেল রুম। প্রতিদিনই কক্সবাজারের প্রবেশদ্বার কলাতলীর মোড় ঘটছে এমন ঘটনা। রয়েছে ৮ থেকে ১০ দালালচক্রের শতাধিক সদস্যরা। যারা প্রতিনিয়ত হয়রানি করছে পর্যটকদের।

শুক্রবার (০৫ আগস্ট) ভোরে মাত্র ২ ঘন্টার অভিযানে আটক হয়েছে ৪ দালালচক্রের ১৯ সদস্য। আর জব্দ করা হয়েছে ১৪টি যানবাহন।

সৈকত শহর কক্সবাজারের প্রবেশদ্বার কলাতলীর ডলফিন মোড়। প্রবেশদ্বারে গাড়ি থেকে দেখা যাবে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত। আর রাস্তার দু’পাশে রয়েছে অসংখ্য হোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস।

এই প্রবেশদ্বারেই সকাল হতেই রাস্তার দু’পাশে ভিড় করছে সারি সারি দূরপাল্লার পরিবহন। আর এই পরিবহনগুলোকে ঘিরে ধরেছে ইজিবাইক, অটোরিক্সা চালকরা। পর্যটকরা গাড়ি থেকে নামতেই তাদের লাগেজ ধরে টানাটানি করছেন তারা। আরেক পক্ষ ঘাপটি মেরে দাঁড়িয়ে আছেন পর্যটকদের নিয়ে গোপন কমিশনের হোটেল রুমে নিয়ে যাবার জন্য। এতে চরম বিরক্ত হচ্ছেন পর্যটকরা। একই সঙ্গে দালালরা দিচ্ছেন নানা অজুহাত।

সোহাগ পরিবহন থেকে নামা পর্যটক ইলিয়াছ উদ্দিন বলেন, গাড়ি থেকে নেমে এভাবে ইজিবাইক ও অটোরিক্সা চালকরা ঘিরে ধরে এটা কখন চিন্তা করা যায় না। যদি তাদের পরিবহন না উঠি থাকলে গালিগালাজও করছে। এটা কোনভাবে মেনে নেয়া যায় না।

আরেক পর্যটক সৈয়দুল করিম বলেন, ইজিবাইক ও অটোরিক্সা চালকরা অধিকাংশ দালাল। এর আগে রমজানের ঈদে কক্সবাজার প্রথম এসেছিলাম। তখন এক ইজিবাইক চালক একটি কটেজে নিয়ে গিয়েছিল। পরে জানতে পারলাম ওই অটোরিক্সা চালকের সঙ্গে কটেজের চুক্তি রয়েছে। একটি রুমেরর পর্যটক দিতে পারলে ৫ শ টাকা পায়। তাই এবার আর এসব দালালদের এড়িয়ে গেলাম।

এদিকে প্রবেশদ্বারে পর্যটকদের হয়রানি বিষয়ে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায় ট্যুরিস্ট পুলিশ। সংগ্রহ করে দালালচক্রের তালিকা এবং মূলহোতাদের। এরই প্রেক্ষিতে শুক্রবারে ভোরে মাত্র ২ ঘন্টার অভিযানে আটক করা হয় দালালচক্রের ১৯ সদস্যকে। জব্দ করা হয় ১৪টি যানবাহন।

ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম বলেন, কক্সবাজারে আগত পর্যটকরা গাড়ি থেকে নামা শুরু করে হোটেল, সৈকত, পর্যটনস্পট ও যাওয়া পর্যন্ত হয়রানি বন্ধ সব ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে ৮ থেকে ১০ দালালচক্রের শতাধিক সদস্যদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। তাদের আটকে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888