শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৯ অপরাহ্ন
বিশেষ প্রতিবেদক : আজ ভয়াল ২৯ এপ্রিল। ৩১ বছর পার হলেও শঙ্কা কাটেনি কক্সবাজার উপকূলবাসীর। কারণ, বরাবরই ঝুঁকিতে অস্থায়ী অনেক বেড়িবাঁধ। যদিও সুপার ডেইক নির্মাণের মাধ্যমে স্থায়ী সমাধানের কথা বলছে প্রশাসন।
১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভন্ড হয় কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূলের বহু জনপদ। তার একটি মহেশখালীর ধলঘাটা উপদ্বীপ।
ধলঘাটে এমন কোন বাড়ি নেই যেখানে প্রাণহানি হয়নি। প্রতি পরিবার থেকে প্রাণ গেছে পাঁচ ছয়জন করে। তাই ২৯ এপ্রিল এলে এখনো প্রতিটি বাড়িতে ওঠে কান্নার রোল। যদিও ঘটনার ৩১ বছর পার হলেও এখনো উপকূল রক্ষিত না হওয়ায় শঙ্কায় দিন কাটে স্থানীয়দের।
স্থানীয়রা বলেন, ২৯ এপ্রিলের কথা মনে পড়ে। তখন আমরা যারা উপকূলবাসী আছি আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। কোনো দূর্যোগ আসলে আগে পানি ভেতরে ঢুকে পড়ে। বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়।
শুধু ধলঘাটই নয় এমন আতঙ্ক প্রায় প্রতিটি উপকূলীয় জনপদে। কক্সবাজারে বর্তমানে প্রায় ৬০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে দুর্বল অবস্থায়। যদিও উপকূলবাসীর নিরাপত্তার জন্য সুপার ডাইকের প্রয়োজন বলে মত স্থানীয় এই জনপ্রতিনিধির।
কক্সবাজার মহেশখালী মাতারবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবু হায়দার বলেন, টেকসই বেড়িবাঁধের যে প্রক্রিয়া ছিল সেগুলো ছিল না। আমরা প্রত্যাশা করছি যে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মাতাবাড়ি ধলঘাটে টেকসই বেড়িবাঁধ হবে।
সুপার ডাইক বেড়িবাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে স্থায়ী সমাধানের চেষ্টার কথা জানালেন জেলা প্রশাসক।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, এটা আমাদের মন্ত্রণালয়ে অনুমোদন পর্যায়ে রয়েছে। এটা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি আগামী মৌসুমে এটার কাজ শুরু হবে।
১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে উপকূলে দুই লাখ মানুষের প্রাণহানির পাশাপাশি নিখোঁজ হয় এক লাখের বেশি। মারা যায় ৭০ হাজার গবাদি পশু।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply