শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৯ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
টেকনাফ ছাড়াও এবার নতুন করে উখিয়া-নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ভেসে আসছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ চকরিয়ায় জেলা পরিষদের জমিতে নির্মিত আওয়ামী লীগের অফিস উচ্ছেদ সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিটি গঠণ সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে কক্সবাজার শহরে এসে সেন্টমার্টিন দ্বীপবাসির সড়ক অবরোধ পাহাড়ী আস্তানা থেকে মালয়েশিয়া পাচারকালে শিশুসহ ৩১ জন উদ্ধার, দুই দালাল আটক সাবের মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর পিএস ফিরোজ কক্সবাজারে গ্রেপ্তার মিয়ানমারের বাঘগুনা খালের পাশে রয়েছে নিমার্ণ সামগ্রী ও দুইটি ট্রলার, মাঝি-মাল্লা সহ ১১ জনের হদিস নেই মিয়ানমারের উপজাতি সম্প্রদায়ের ৬৫ নাগরিকের অনুপ্রবেশ চকরিয়ায় কিশোরকে ছুরিকাঘাত : আটক ৪ চকরিয়ায় ফেরিওয়ালার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

আজ সেই ভয়াল ২৯ এপ্রিল, উপকূলবাসীর স্বজন হারানোর দিন

বিশেষ প্রতিবেদক : আজ ভয়াল ২৯ এপ্রিল। ৩১ বছর পার হলেও শঙ্কা কাটেনি কক্সবাজার উপকূলবাসীর। কারণ, বরাবরই ঝুঁকিতে অস্থায়ী অনেক বেড়িবাঁধ। যদিও সুপার ডেইক নির্মাণের মাধ্যমে স্থায়ী সমাধানের কথা বলছে প্রশাসন।

১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভন্ড হয় কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূলের বহু জনপদ। তার একটি মহেশখালীর ধলঘাটা উপদ্বীপ।

ধলঘাটে এমন কোন বাড়ি নেই যেখানে প্রাণহানি হয়নি। প্রতি পরিবার থেকে প্রাণ গেছে পাঁচ ছয়জন করে। তাই ২৯ এপ্রিল এলে এখনো প্রতিটি বাড়িতে ওঠে কান্নার রোল। যদিও ঘটনার ৩১ বছর পার হলেও এখনো উপকূল রক্ষিত না হওয়ায় শঙ্কায় দিন কাটে স্থানীয়দের।

স্থানীয়রা বলেন, ২৯ এপ্রিলের কথা মনে পড়ে। তখন আমরা যারা উপকূলবাসী আছি আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। কোনো দূর্যোগ আসলে আগে পানি ভেতরে ঢুকে পড়ে। বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়।

শুধু ধলঘাটই নয় এমন আতঙ্ক প্রায় প্রতিটি উপকূলীয় জনপদে। কক্সবাজারে বর্তমানে প্রায় ৬০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে দুর্বল অবস্থায়। যদিও উপকূলবাসীর নিরাপত্তার জন্য সুপার ডাইকের প্রয়োজন বলে মত স্থানীয় এই জনপ্রতিনিধির।

কক্সবাজার মহেশখালী মাতারবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবু হায়দার বলেন, টেকসই বেড়িবাঁধের যে প্রক্রিয়া ছিল সেগুলো ছিল না। আমরা প্রত্যাশা করছি যে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মাতাবাড়ি ধলঘাটে টেকসই বেড়িবাঁধ হবে। 

সুপার ডাইক বেড়িবাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে স্থায়ী সমাধানের চেষ্টার কথা জানালেন জেলা প্রশাসক।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, এটা আমাদের মন্ত্রণালয়ে অনুমোদন পর্যায়ে রয়েছে। এটা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি আগামী মৌসুমে এটার কাজ শুরু হবে।

১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে উপকূলে দুই লাখ মানুষের প্রাণহানির পাশাপাশি নিখোঁজ হয় এক লাখের বেশি। মারা যায় ৭০ হাজার গবাদি পশু।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888