সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০২ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
টেকনাফ সৈকতে গোসলে নেমে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু, নিখোঁজ ২ বুদ্ধাঙ্ক (IQ) এর পরিমাপ অনুযায়ী প্রতিভাবান শিশুদের বুদ্ধাঙ্ক মাত্রা চকরিয়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩ জীবন সংগ্রামি লাইলার কম মূল্যের সবজির দোকান শিক্ষা কর্মকর্তার ঘুষ নেয়ার ভিডিও ভাইরাল মিয়ানমারে বিস্ফোরণে মুহুর্মুহু শব্দ, টেকনাফের বসত ঘরের আঙ্গিনায় এসে পড়েছে গুলি মাকে কুপিয়ে হত্যার পর থানা এসে হাজির যুবক টেকনাফ ছাড়াও এবার নতুন করে উখিয়া-নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ভেসে আসছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ চকরিয়ায় জেলা পরিষদের জমিতে নির্মিত আওয়ামী লীগের অফিস উচ্ছেদ সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিটি গঠণ

রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে অস্ত্র সহ কথিত আরসা নেতা গ্রেফতার : ইয়াবা উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক : উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প দেশীয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র, রাউন্ড কার্তুজ সহ কথিত ‘আরসা’ নেতা ইদ্রিসকে গ্রেফতার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-এপিবিএন। একই সঙ্গে অপর এক অভিযানে ক্যাম্প থেকে কথিত আরসা বাহিনীর এক কমান্ডারের আস্তনায় অভিযান চালিয়ে ৪০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার হয়।

এর মধ্যে সোমবার ভোরে গ্রেফতার কুতুপালং ক্যাম্প থেকে গ্রেফতার করা হয় মুহাম্মদ ইদ্রিস (৪২) কে। ইদ্রিস কুতুপালং রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের মৃত আবদুল করিমের পুত্র বলে জানান ১৪ এপিবিএন এর অধিনায়ক পুলিশ সুপার মো. নাইমুল হক।

তিনি জানান, ইদ্রিস রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের ডি ব্লকে কথিত আরসা’ নেতা জোবায়েরের পক্ষে অবৈধ প্রভাব তৈরির ব্যর্থ চেষ্টা করে আসছিল। দীর্ঘদিন হল কুতুপালং ক্যাম্প পুলিশ তাকে হন্য হয়ে খোঁজ করছিল।একাধিক টিমের কর্ডন ও প্রযুক্তির সাহায্য এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ১টি দেশীয় তৈরি ওয়ান শুটার গান ও ৫ রাউন্ড কার্তুজ সহ রোহিঙ্গা ইদ্রিসকে গ্রেফতার করা সক্ষম হয়। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

অপরদিকে সোমবার ভোরে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-১০ ব্লকে এ অভিযান চালানো ৪০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয় বলে জানান ১৪ এপিবিএন এর অধিনায়ক পুলিশ সুপার মো. নাইমুল হক।

তবে মাদক কারবারিরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি বলে জানান তিনি।

নাইমুল বলেন, সোমবার ভোরে উখিয়ার কুতুপালং ৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-১০ ব্লকে একটি বসত ঘরে ইয়াবার বড় একটি চালান মজুদের খবরে এপিবিএন এর একটি দল অভিযান চালায়। এতে এপিবিএন সদস্যরা সন্দেহজনক ঘরটি ঘিরে ফেললে ৩ জন লোক ড্রেনের মত সুড়ঙ্গের ভিতর দিয়ে পালিয়ে যায়।

“ পরে ঘরটি তল্লাশী করে বিশেষ কৌশলে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় পাওয়া যায় ৪০ হাজার ইয়াবা। ঘরটির বাসিন্দা রোহিঙ্গা দুষ্কৃতিকারি মোহাম্মদ আলম ওরফে মুসা (৩০)। ঘরটি কথিত আরসার বাহিনীর গান গ্রুপের কমান্ডার নুর কামাল ওরফে ছমি উদ্দিন তার আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল। ”

এপিবিএন এর কর্মকর্তার ভাষ্য, “ কথিত আরসা কমান্ডার নুর কামাল ওরফে ছমি উদ্দিন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে মাদকপাচার, অস্ত্রপাচার ও চোরাচালান চালিয়ে আসছিল। সে সীমান্তে চোরাচালান চক্রের অন্যতম প্রধান। ”

মাদকের চালান মজুদের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে বলে জানান নাইমুল হক।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888