শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১২ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মাহমুদুল হাসান ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক এস এম রিয়াদ হাসান টেকনাফ গিয়ে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘাত দেখলেন। তাদের সামনেই উপজেলা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। কেন্দ্রীয় নেতারা তাৎক্ষণিক তাদের নিবৃত্ত করে জরুরী বৈঠক শেষ করে চলে যান।
জানা গেছে, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল মোস্তফা ও তার কমিটির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রেক্ষিতে অধিকতর তদন্তের স্বার্থে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত দুই সদস্যের তদন্ত কমিটিকে এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়। এরই প্রেক্ষিতে রবিবার বিকেলে উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে জরুরী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে তদন্ত কমিটির দুই সদস্য ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম সাদ্দাম হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনান।
সভায় উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের অনুভূতি প্রকাশের শেষ পর্যায়ে হোয়াইক্যং শাখা ছাত্রলীগের সদস্য ফরহাদুল ইসলাম তার বক্তব্যে কিছু সাংঘর্ষিক বিষয় উত্থাপন করলে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলামের কিছু সমর্থক ও নেতাকর্মী এতে বাধা প্রদান করে। এতে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। পরে কেন্দ্রীয় ও জেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
এব্যাপারে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম সাদ্দাম হোসাইন জানান, তদন্ত করতে কেন্দ্রিয় নেতাদের সাথে টেকনাফ গিয়ে বৈঠক করা হয়েছে। বৈঠকে দু’ পক্ষের মধ্যে একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। বিষয়টি ঘটনাস্থলে সমাধান করা হয়েছে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে এ ধরণের ঘটনা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
সাধারণ সম্পাদকের তদন্তের বিষয়টি এখনো চলমান বলে জানান তিনি।
জেলা ছাত্রলীগ সূত্র জানিয়েছে, ২০২১সালের ১৩ এপ্রিল কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ ঘোষিত টেকনাফ উপজেলা কমিটিতে সাইফুল ইসলামকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল মোস্তফাকে ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে নুরুল মোস্তফা ছাত্রদলের হ্নীলা ইউনিয়নের ১নং ওযাডের কমিটির সহসভাপতি ছিলেন বলে অভিযোগ উঠে। এরমধ্যে গত ৮ এপ্রিল শুক্রবার বিকেলে উপজেলার হ্নীলার মৌলভীবাজারের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই গ্ৰুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশ ও উভয়পক্ষের অন্তত ২০জন আহত হয়। এ ঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল মোস্তফাসহ ২৯জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় ১৫জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। ওইদিন রাতে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভীবাজার এলাকার অলি আহামদের ছেলে বেলাল উদ্দীন বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেছেন। বিষয়টি কেন্দ্রের নজরে আসলে ছাত্রলীগ একটি তদন্ত কমিটি গঠণ করে।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply