শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০৪ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : মালয়েশিয়া পাঠানোর প্রলোভনে টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জিন্মি রাখা রামুর এক তরুণীকে উদ্ধার এবং মানবপাচারকারি চক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-এপিবিএন।
বুধবার দুপুরে টেকনাফ উপজেলার ২৬ নম্বর শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ অভিযান চালানো হয় বলে ১৬ এপিবিএন এর অধিনায়ক পুলিশ সুপারমোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম জানান।
ভূক্তভোগী তরুণী ফাতেমা বেগম (১৮) রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের আদর্শগ্রাম এলাকার বাদশা মিয়ার মেয়ে।
আটকরা হল, টেকনাফ উপজেলার ২৬ নম্বর শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এ-২ বøকের মৃত আবুল কাসেমের ছেলে ইমাম হোসেন (৩৭) ও একই ক্যাম্পের মৃত ছৈয়দ হোসেনের ছেলে দিল মোহাম্মদ (৩০) এবং টেকনাফের ২৪ নম্বর লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-১৮ বøকের ইমাম হোসেনের মেয়ে মাহমুদা খাতুন (৩২)।
তারিকুল বলেন, দুপুরে টেকনাফের ২৬ নম্বর শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এপিবিএন সদস্যদের একটি টহলদল দায়িত্ব পালন করছিল। এতে ক্যাম্পটির এ-২ বøকে জড়ো হওয়া কয়েকজন রোহিঙ্গার গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় এপিবিএন সদস্যরা থামার জন্য নির্দেশ দেয়। লোকগুলো এপিবিএন সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় ধাওয়া দিয়ে এক নারীসহ তিনজনকে আটক করতে সক্ষম হয়।
“ পরে আটকদের দেওয়া তথ্য মতে, টেকনাফের ২৬ নম্বর শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে মালয়েশিয়া পাঠানোর প্রলোভনে জিন্মি রাখা ফাতেমা বেগম নামের এক তরুণীকে উদ্ধার করা হয়। ”
এপিবিএন কর্মকর্তার ভাষ্য, “ আটকরা স্বীকারোক্তি দিয়েছে, উদ্ধার তরুণীকে মালয়েশিয়া পাঠানোর প্রলোভনে গত ৩ দিন আগে রামু থেকে কৌশলে নিয়ে এসে শালবাগান রোহিঙ্গা জিন্মি করে রাখে। ”
তারিকুল জানান, উদ্ধার হওয়া তরুণীকে টেকনাফ থানায় হস্তান্তর এবং আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করা হয়েছে।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply