শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৬ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে ভূমি ও গৃহহীনদের আশ্রয় দিতে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নে খাস দেখিয়ে ব্যক্তি মালিকানাধীন জোত জমি দখল করার অভিযোগ উঠেছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে।
এ নিয়ে ভুক্তভোগী ব্যক্তির অভিযোগ, ‘গত নির্বাচনে তার এক ভাই প্রতিদ্বন্ধিতার’ কারণে প্রতিহিংসা বশত: স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের যোগাসাজশে স্থানীয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তি এ অমূলক কাজের মাধ্যমে হয়রানি করছেন।
রোববার বিকালে কক্সবাজার শহরের আদালত এলাকায় নিজের ব্যক্তিগত অফিসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন জেষ্ঠ্য আইনজীবী এম আব্দুল মান্নান।
ভ’ক্তভোগী এম আব্দুল মান্নান উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ধামনখালী এলাকার মরহুম মৌলভী আব্দুল হকের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল মান্নান বলেন, গত ইউপি নির্বাচনে পালংখালীতে তার ছোট ভাই আব্দুল মালেক চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করে অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। এ নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরীর রোষানলে পড়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা। নির্বাচনকালীন উখিয়ার সহকারি ভূমি কমিশনার (এসিল্যান্ড) মো. তাজ উদ্দিনের সঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যানের বিশেষ সখ্যতা গড়ে উঠে। এটিকে কাজে লাগিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের প্ররোচনায় এখন মুজিববর্ষের আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় গৃহহীনদের ঘর নির্মাণ করতে তার ব্যক্তি মালিকানাধীন জোত জমি দখল করে নিয়েছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, তার ও তার এক ভাইয়ের মালিকানায় পালংখালী মৌজার আরএস ১৩৩৭ নম্বর খতিয়ান ও আরএস ২৯৫ নম্বর দাগ এবং বিএস ১৪৪০ নম্বর খতিয়ান ও বিএস ২৯৫ নম্বর দাগভূক্ত ৪৩ শতক জমি রয়েছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহ নির্মাণের জন্য ওই জমির আশাপাশের খাস জমি অধিগ্রহণ করতে গিয়ে তার জোত জমিও দখলে নিয়েছে প্রশাসন। এ নিয়ে আপত্তি জানানোর পরও প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা কর্ণপাত করছেন না।
এ ভূক্তভোগী আরও বলেন, একইভাবে উখিয়ার জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অভ্যন্তরে থাকা তারসহ পরিবারের সদস্যদের মালিকাকানাধীন ৮৬ শতক জোত জমি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের ইন্ধনের এসিল্যান্ডের যোগসাজশে ক্যাম্প প্রশাসন দখল করে নিয়েছে। বর্তমানে ওই জমিতে রোহিঙ্গাদের বসতি ছাড়াও সিআইসি কার্যালয়, এনজিও সংস্থার অফিস ও নানা স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। এ নিয়ে শরণার্থী কমিশনার কার্যালয়ে অভিযোগ করা হলেও আজবধি কোন সুরাহা পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে উখিয়ার ইউএনও মো. ইমরান হোসাইন বলেন, অভিযোগ উঠা জমিটি সরকারি খাস খতিয়ানভূক্ত। মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণের জন্য খাস জমি নির্ধারণ করা হয়েছে। তারপরও এসিল্যান্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে কোন ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি দখলেনেওয়া না হয়।
এ নিয়ে উখিয়ার সহকারি ভূমি কমিশনার (এসিল্যান্ড) মো. তাজ উদ্দিন বলেন, অভিযোগকারি আব্দুল মান্নানের বেশ কিছু খাস জমি ভোগদখলে ছিল। মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণে তার ভোগদখলে খাস জমিতে থাকা স্থাপনা উচ্ছেদ করে অবমুক্ত করা হয়েছে। এতে তার ব্যক্তি মালিকানাধীন কোন জমি দখলেনেওয়া হয়নি।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply