শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৯ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
টেকনাফ ছাড়াও এবার নতুন করে উখিয়া-নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ভেসে আসছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ চকরিয়ায় জেলা পরিষদের জমিতে নির্মিত আওয়ামী লীগের অফিস উচ্ছেদ সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিটি গঠণ সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে কক্সবাজার শহরে এসে সেন্টমার্টিন দ্বীপবাসির সড়ক অবরোধ পাহাড়ী আস্তানা থেকে মালয়েশিয়া পাচারকালে শিশুসহ ৩১ জন উদ্ধার, দুই দালাল আটক সাবের মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর পিএস ফিরোজ কক্সবাজারে গ্রেপ্তার মিয়ানমারের বাঘগুনা খালের পাশে রয়েছে নিমার্ণ সামগ্রী ও দুইটি ট্রলার, মাঝি-মাল্লা সহ ১১ জনের হদিস নেই মিয়ানমারের উপজাতি সম্প্রদায়ের ৬৫ নাগরিকের অনুপ্রবেশ চকরিয়ায় কিশোরকে ছুরিকাঘাত : আটক ৪ চকরিয়ায় ফেরিওয়ালার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

‘চেম্বার অব কমার্স’ তুমি খোকা নাকি আলীর?

বিশেষ প্রতিবেদক : কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিকে ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যবহার করতে মরিয়া কোন পক্ষ যেন কাউকে ছাড় দিতে রাজী নন। ফলে টানা দেড় যুগের রশি টানা-টানির কবল থেকে শেষ রক্ষা করা যাচ্ছে না। এতে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠেছে, “কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি তুমি কার?”

অভিযোগ রয়েছে, গত দেড় যুগ সময় জুড়ে কখনো তিন ভাগ আবার কখনো দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে চলছে গুরুত্বপূর্ণ কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি। এতে রশি টানা টানির কবলে পড়ে প্রতিষ্ঠানটি সদস্য হিসেবে অর্ন্তভ‚ক্ত করা হয়েছে পানের দোকানদার থেকে শুরু করে ফুটপাতের হকার পর্যন্ত। মুলত কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি নামে ইস্যুকৃত সনদ বাণিজ্য, প্রতিষ্ঠানটির পদ-পদবী ব্যবহার করে সরকারী গুরুত্বপূর্ণ কমিটির সদস্য বা সভায় অংশ নিয়ে নিজের সুবিধা আদায়ে তৎপর ব্যক্তি বিশেষের কারণে কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এমন হাল হয়েছে। সম্প্রতি উচ্চ আদালতের একটি আদেশের পর বিষয়টি ফের আলোচনায় এসেছে।

সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের দেয়া তথ্য মতে, ২০০৪ সালের শেষ দিকে এসে কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি পরিচালিত হচ্ছে দ্বিধার মধ্যে। কখনো দুই ভাগ, আবার কখনও তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হওয়া নিয়ে জেলা জুড়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় সৃষ্টি হয়। এর প্রেক্ষিদে ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে কক্সবাজার চেম্বারের বিবদমান তিনটি পক্ষকে নিয়ে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সর্বসম্মতিতে গঠিত হয়েছিল চেম্বারের ২১ সদস্যবিশিষ্ট নতুন পরিচালনা পর্ষদ। মন্ত্রণালয়ের ডিটিও (অতিরিক্ত সচিব) মো. আবদুল মান্নানকে আহŸায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত শেষে এ নিয়ে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দেয় কমিটি। এ সুপারিশের ভিত্তিতে ওই সময়ের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেনের উপস্থিতিতে সব পক্ষকে নিয়ে একসঙ্গে আলোচনায় বসা হয়। এর পর সবার সম্মতিতেই নতুন পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন দেয়া হয়। এক বছরের জন্য ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করা হলেও আর নবায়ন হয়নি ৫ বছরেও। ফলে ফের চাঙ্গা হয়ে উঠে বিবাদমান গ্রæপিং।

এর মধ্যে হাইকোর্ট ডিভিশন গত ১ ফেব্রæয়ারি এক আদেশ প্রদান করেছেন। আদেশের ভিত্তিতে আবু মোর্শেদ খোকার নেতৃত্বাধীন কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি কার্যকারিতা স্থগিত করে মোহাম্মদ আলীর (সভাপতি) নেতৃত্বাধীন চেম্বারকে দায়িত্ব পালনের আদেশ প্রদান করেন। এর প্রেক্ষিতে কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির কার্যক্রম নিয়ে আবারো প্রশ্ন উঠেছে। আলোচনায় এসেছে কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির দেড় যুগের বিরোধও।

আবু মোর্শেদ খোকা জানান, করোনাকালিক পরিস্থিতিতে কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির নথিপত্র গোপন করে কিছু কাগজ তৈরী করে একটি পক্ষ। এর প্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও এফবিসিআই ভ‚ক্ত হতে চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ওখানে তাঁর (খোকা) নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দেন। এর মধ্যে গোপনে হাইকোর্টে গিয়ে এক পক্ষের একটি আদেশ আনা হয়। এব্যাপারে আপীল করা হবে।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে মোহাম্মদ আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888