বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৩ অপরাহ্ন
গহীন -শীতের রাতে এরশাদ-খালেদা বিরোধি আন্দোলন সংগ্রামে অনেক সময় রাতে আন্দোলনের কর্ম কৌশল নির্ধারনি বৈঠক হতো, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামিলীগ এর সাবেক সাধারন সম্পাদক,সাবেক পৌর প্রসাশক বর্তমান কক্সবাজার জেলা আওয়ামিলীগ এর যুগ্ম সাধারন সম্পাদক কারা নির্যাতিত জননেতা মরহুম এডভোকেট আমজাদ হোসেন এর থানা রোড়স্থ বাসভবনে।অনেক সময় মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রাম পরিষদ এর অন্যতম সংগঠক ,বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ জাতীয় কার্যকরিকমিটির সদস্য শ্রদ্ধেয় জননেতা এস কে শামসুল হুদার বাস ভবনে।আমরা এরশাদ -খালেদা বিরোধি আন্দোলনের ছাত্র কর্মি ছিলাম। অনেকের সাথে আমার ও ডাক পড়ত।সেই শীত রাত শেষ প্রান্তে সিকলঘাটা বাড়ী ফিরতাম আমি,আবসার উদ্দিন মাহমুদ,ফয়সল চৌধুরির সহ অনেকে। এমনও সময় গেছে বাড়ি ফিরতে রাত ১-২টা পর্যন্ত বেজে যেত।
সেই শীত রাতে আমাদের কাচারি ঘরে “মা আমার থাকত বসে পাতের হাড়ি,গরম করে আগুনে।”বাড়ি ফিরলে মা অন্যদের দেখে বলতো তুরা ছিলি ভালো করেছিস।ফয়সল সম্পর্কে আমার মামা হন,ফয়সল মাকে নানি বলে ভাইল দিয়ে বলত কি রান্না করেছেন আমাদের জন্য।ফয়সল হচ্ছে শাহ উমরাবাদ উচ্ছ বিদ্যালয়,চকরিয়া কলেজ এর প্রতিষ্টাতা আনোয়ার হোসেন চৌধুরির ছেলে।আর আবছার কক্সবাজার জেলা আওয়ামিলীগ এর সাবেক সহ-সভাপতি ও স্কুল শিক্ষক সমিতির জেল সভাপতি বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর আব্দুল মালেক মাস্টার এর তৃতিয় সন্তান।মা আমাদের খাইয়ে তারপর ঘুমাতেন।মৃদু মন্দ বকা দিতেন।মাঝে মাঝে জিয়া ভাই ও থেকে যেতেন।(জিয়া উদ্দিন চৌধুরি জিয়া-চেয়াম্যান বরই তলি ইউনিয়ন পরিষদ)।আজ আমার মায়ের১৮ তম মৃত্যুবার্ষিকী ।মা যখন ইন্তেকাল করেন তখন আমি ফেরারি।নোয়াখালিতে থাকি মানিক মুখার্জি নাম ধারন করেছি,মায়ের মৃত্যু সংবাদ পাই সেই নোয়াখালিতে,নোয়াখালি থেকে আসলাম জীবনের ঝুকি নিয়ে,কিন্তু পথে পুলিশ দাড়ানো,আমাদের বাড়ীর দুয়ারে পুলিশ দাঁড়ানো,ঠিক নির্মলেন্দু গুন এর কবিতা হুলিয়ার মতো।ঘুর পথে এসে মাকে একপলক দেখে অশ্রু জলে মায়ের জানাজা না পড়ে ফিরেগেলাম।এই বেদনা ভার সহজে কেউ বুঝবেনা,যার জীবনে এমোন ঘটনা ঘটেনি।আমাকে তখন বর্তমান যুবলীগ চকরিয়া উপজেলার সাধারন সম্পাদক কাউছার উদ্দিন কছির মটর সাইকেল এর মাঝখানে বসিয়ে বাইন্নার ছড়া থেকে গাড়ী তে তুলে দেয়।
আমি সেই ব্যার্থ সন্তান মায়ের জানাজা টি পর্যন্ত পড়তে দেয়নি,বিএনপি-জামাত জোট সরকারের সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাউদ্দিন আহমদ এর পুলিশ।কথা হচ্ছে রাখে আল্লাহ মারে কে,সেই সালাউদ্দিন ও আজ শিলং এ ফেরারি হয়ে অবস্থান করছে।আর আমার বিরোদ্ধে যতধরেনের মামলা সাজিয়েছিল একদা আমার বাড়ীর লজিং মাস্টর,এলাকায় যাকে কাটিঙ্গয়ার পোয়া এনাম বলে ডাকে,সেই বিএনপি র সভাপতি এনাম,এই এনাম আমার বন্ধু জাফর(সাবেক চকরিয়া কলেজ ছাত্রলীগ নেতা)এর বাড়ী ঘর লুট করায়,বৃক্ষনিধন করায়। অসুস্থ জাফরের বাড়ী ভিটা দখলের উদ্যেশ্যে দখল উৎসব করেছিল।জাফর কে বহু মামলা দিয়ে হয়রানি করিয়েছিলো।সেই এনাম ও তার পাপের বাড়ীতে তার মাকে ঢুকাতে পারেনি,তার মায়ের স্বাভাবিক মৃত্যুর সময় পাশে থাকতে পারেনি।আল্লাহ্ র বিচার কিছু ধিরে ধিরে,কিছু প্রকাশ্যে।সেই এনামও কক্সবাজার জেলা বিএনপির সম্মেলনে বিএনপির কর্মি দ্বারা প্রহৃত হয়েছিল।এপিএস সালাউদ্দিন তাকে পরে ছুড়ে ফেলে দিয়ে ছিলো।আল্লাহ এখনো শফি উল্লাহ শফির বিচার করে নি,তবে শফির পিতা ছিদ্দিক সওদাগর তার কোন অর্থ সহযোগিতা নেয় না বলে জেনেছি,তার ভাই বেলাল এর কাছ থেকে।
তো যেসব বিএনপি ছাত্রদলের গুন্ডাদের কারণে আমি, আমার পরিবার নির্যাতিত হয়েছি শুধু ছাত্রলীগ করার অপরাধে,শেখ হাসিনার পক্ষে থাকার অপরাধে আল্লাহ স্বয়ং তাদের বিচার করছেন। আমিন।
দোয়া করি তাদের জন্য তারা যেনো হেদায়েত প্রাপ্ত হোন।আমিন
দোয়া করি আমার মাকে যেনো আল্লাহ বেহেশত নসিব করেন। আমিন।
মা তোমার পাগলা ছেলে জন্য দোয়া কর,আমিন।
.coxsbazartimes.com
ধন্যবাদ প্রিয় পোর্টাল ও সম্পাদক