শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩১ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : রামু উপজেলার পেঁচারদ্বীপ এলাকা থেকে অপহৃত উখিয়ার সোনারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষার্থীর সন্ধান মিলেনি। পুলিশ, এপিবিএন, র্যাব সদস্যরা নানাভাবে অভিযান অব্যাহত রাখলেও কোন প্রকার হদিস মিলছে না। তবে অপহরণকারীরা দফায় দফায় ফোন করে মুক্তিপণের টাকা আদায়ের জন্য তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে।
অপহৃতদের স্বজনরা জানিয়েছে, অপহরণকারীরা তাদের সন্তানদের নানাভাবে নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। মোবাইল ফোনে নির্যাতনের চিৎকার শুনা যাচ্ছে। এখন ২০ লাখ টাকার পরিবর্তে অপহরণকারীরা ১২ লাখ টাকা দাবী করছে।
টেকনাফ থানার ওসি (তদন্ত) আবদুল আলিম জানান, ৪ শিক্ষার্থীকে অপহরণের অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। তবে কোনভাবে উদ্ধার করা যাচ্ছে না। পুলিশ কৌশলে তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে।
পেচারদ্বীপের বাতিঘর নামে একটি কটেজের কর্মচারী জাহাঙ্গীর আলম ও মো. ইব্রাহীমের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় চার স্কুলছাত্রের। সে সুবাদে গত ৭ ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে চারজনকে সেন্টমার্টিন বেড়াতে নেয়ার কথা বলে টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকায় নিয়ে যান জাহাঙ্গীর ও ইব্রাহীম। বেড়াতে যাওয়ার পর থেকে ওই চারজনের খোঁজ মিলছে না। ৮ ডিসেম্বর বুধবার রাতে স্বজনদের কাছে বিভিন্ন অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করে তাদের মুক্তিপণ হিসেবে ২০ লাখ টাকা দাবি করা হচ্ছে। আর তা না পেলে মরদেহ ফেরত পাঠানোর হুমকি দেয়া হচ্ছে।
অপহৃতরা হলো, রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের পেচারদ্বীপের মংলা পাড়া এলাকার মোহাম্মদ কায়সার, মিজানুর রহমান নয়ন, জাহেদুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান। তাদের মধ্যে জাহেদুল সোনারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে পড়ে। বাকিরা অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
অভিযুক্ত ২ জন টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ২৬ নং ব্লকের বাসিন্দা এবং , পেচারদ্বীপের বাতিঘর নামে একটি কটেজের কর্মচারী।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply