শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
টেকনাফ ছাড়াও এবার নতুন করে উখিয়া-নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ভেসে আসছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ চকরিয়ায় জেলা পরিষদের জমিতে নির্মিত আওয়ামী লীগের অফিস উচ্ছেদ সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিটি গঠণ সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে কক্সবাজার শহরে এসে সেন্টমার্টিন দ্বীপবাসির সড়ক অবরোধ পাহাড়ী আস্তানা থেকে মালয়েশিয়া পাচারকালে শিশুসহ ৩১ জন উদ্ধার, দুই দালাল আটক সাবের মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর পিএস ফিরোজ কক্সবাজারে গ্রেপ্তার মিয়ানমারের বাঘগুনা খালের পাশে রয়েছে নিমার্ণ সামগ্রী ও দুইটি ট্রলার, মাঝি-মাল্লা সহ ১১ জনের হদিস নেই মিয়ানমারের উপজাতি সম্প্রদায়ের ৬৫ নাগরিকের অনুপ্রবেশ চকরিয়ায় কিশোরকে ছুরিকাঘাত : আটক ৪ চকরিয়ায় ফেরিওয়ালার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

অবশেষে ২২ জেলে সহ চারটি ফিশিং ট্রলার ছেড়ে দিল মিয়ানমারের নৌবাহিনী

নিজস্ব প্রতিবেদক : অবশেষে টেকনাফ উপজেলার সেন্ট মার্টিন দ্বীপের অদূরে বঙ্গোপসাগর থেকে ধরে নেওয়া ২২ জন জেলেসহ চারটি ফিশিং ট্রলার ছেড়ে দিয়েছেন মিয়ানমারের নৌবাহিনী।

শনিবার দিবাগত রাত ১০টার দিয়ে ২২জেলেসহ চারটি ফিশিং ট্রলার ছেড়ে দিয়েছেন। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে চারটি ট্রলার জেলেসহ সেন্টমার্টিন জেটি ঘাটে এসে পৌছান ।
এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমেদ ও একটি ট্রলারে মালিক মোহাম্মদ আজিম।

শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ জলসীমার বিপরীতে মিয়ানমারের মেরুল্লার বাহারছড়াসংলগ্ন এলাকা থেকে ২২জেলেসহ চারটি ফিশিং ট্রলার মুখে জিম্মি করে মিয়ানমারের নিয়ে যান।

নূর আহমেদ বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় সেন্ট মার্টিন দ্বীপের স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আজিম, মোহাম্মদ হোসেন ও মোহাম্মদ ইউনুছের মালিকানাধীন চারটি মাছ ধরার ফিশিং ট্রলারে করে ২২ জন জেলে সাগরে মাছ ধরতে যান। শনিবার সকালে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের পূর্ব-দক্ষিণে মিয়ানমার নৌবাহিনীর সদস্যরা এসে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ওই তিনটি ফিশিং ট্রলারসহ ২২ জন জেলেদের ধরে নিয়ে যান। ওই সময় পালিয়ে আসা কয়েকটি ট্রলারের জেলে এবং ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেরা মুঠোফোনে নিজ নিজ ফিশিং ট্রলারের মালিকদের বিষয়টি জানান। ওই সব ফিশিং ট্রলারের মালিকেরা বিষয়টি আমাকে জানিয়েছিলেন।’

ট্রলারমালিক মোহাম্মদ আজিম বলেন, শনিবার সকালে বাংলাদেশ জলসীমায় ঢুকে মিয়ানমার নৌবাহিনীর সদস্যরা তাঁর মাছ ধরার ট্রলার এফবি মাজহারুল হককে সাতজন জেলেসহ অস্ত্রের মুখে ধরে নিয়ে গেছেন। এ ছাড়া আরও তিনটি মাছ ধরার ফিশিং ট্রলার ধরে নিয়ে যান তাঁরা। পরে ধরে নিয়ে যাওয়া চারটি ফিশিং ট্রলারকে শীতা নামক এলাকায় নিয়ে মিয়ানমার নৌ-বাহিনীর জাহাজের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। ছেলেসহ ট্রলার গুলি ফেরত পাওয়ার জন্য ঘটনাটি স্থানীয় বিজিবি ও কোস্টগার্ডকে জানানোর হলে তাদের তৎপরতায় জেলেসহ ট্রলারগুলো ফেরত দিতে বাধ্য হয় মিয়ানমার নৌ-বাহিনী।

তিনি আরও বলেন, জেলেদের সঙ্গে থাকা ১০টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন, একটি গ্যাস সিলিন্ডার ছিনিয়ে নেন। পরে নিরাপদে ট্রলারসহ জেলেরা শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে দশটার দিকে সেন্টমার্টিন জেটিতে এসে পৌঁছান।

জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী বলেন, ‘বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ ধরার চারটি ফিশিং ট্রলারসহ ২২ জেলেকে মিয়ানমারের নৌবাহিনী ছেড়ে দিয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাতে ২২ জেলেসহ ট্রলারগুলো সেন্টমার্টিনে ফেরত এসেছেন বলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি অবহিত করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888