শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০১ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের পর উখিয়া ক্যাম্পে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত এক মাসে ১৭২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।
সোমবার (১ নভেম্বর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উখিয়াস্থ ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক (পুলিশ সুপার) মো. নাঈমুল হক।
তিনি জানান, উখিয়ার আশ্রয়শিবিরে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের পর থেকে ১৪ এপিবিএন বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এ পর্যন্ত বিভিন্ন অপরাধে ১৭২ জন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সুপার মো. নাইমুল হক বলেন, মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের পর থেকে গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান অব্যাহত রাখা হয়। এ পর্যন্ত তথাকথিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নামধারী ১১৪ জন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাছাড়া মাদক ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, চোরাচালানে জড়িত, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত আরও ৫৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই অভিযানে মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ১০ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে তিনজন আসামি দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে।
তিনি বলেন, অভিযানে ১১২৯৪ পিস ইয়াবা, ৪০ গ্রাম গাঁজা, ৪টি দেশীয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র, ৪ রাউন্ড কার্তুজ, ২ রাউন্ড ৭.৬২ চায়না রাইফেলের গুলি, ১৪ টি রামদা, ৫টি লোহার হাসুয়া, ১টি কিরিজ, ১২টি দা, ৩টি লম্বা আকৃতির ধামা, ১টি ছোরা ও একটি রড উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া অবৈধ মজুদ করে রাখা ৬০০ কেজি চাল, ৮৯ লিটার তেলসহ আরও অনেক কিছু উদ্ধার করা হয়। এরমধ্যে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার সংক্রান্ত ৫টি মামলা, ডাকাতি প্রস্তুতির ৫টি মামলা,মাদক মামলা ১৩টি সহ সর্বমোট ২৫টি মামলা দায়ের করা হয়। তাছাড়া মোবাইল কোর্টে বিভিন্ন অপরাধে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আরও ৫৯টি মামলা করা হয়। তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয় এবং ৫৩ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক আরও বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে। আমরা চাই সাধারণ রোহিঙ্গারা ভালো থাকুক। তথাকথিত দুর্বৃত্ত গ্রুপের নাম করে কাউকে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করতে দেওয়া হবে না।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply