রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১৪ পূর্বাহ্ন
বিশেষ প্রতিবেদক : প্রথমে ১৫ বছর বয়সী কিশোরীর সাথে যুবকের প্রেম, সেই সুবাদে বেড়ানোর কথা বলে হোটেলে রাতযাপন। অন্তরঙ্গ সেই দৃশ্য মোবাইল ফোনে কৌশলে ধারণ করে রাখে প্রেমিক। কিছুদিন পর ভিডিওচিত্রটি হস্তান্তর করে কথিত বন্ধুকেও। এরপর আপত্তিকর ভিডিওটি ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে বন্ধুর প্রেমিকাকে কয়েক বার ধর্ষণ করে কথিত বন্ধুও। দুই বখাটের নির্যাতনের ধকল সইতে না পেরে অবশেষে আইনের আশ্রয় নেয় মেয়েটি।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে মহেশখালীতে।
ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়েরের পর কথিত প্রেমিকসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৭ অক্টোবর) রাতে কালারমারছড়া ইউনিয়নের অফিসপাড়া থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, অফিসপাড়ার মো. রফিকের পুত্র মো. আলমগীর (২২) ও মোহাম্মদ শাহ ঘোনার মোহাম্মদ হোছাইনের পুত্র মো. আনোয়ার (২৬)।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হাই গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
ভুক্তভোগীর বরাতে পুলিশ জানিয়েছে, কালারমারছড়ার মোহাম্মদ শাহ ঘোনার দরিদ্র পরিবারের এক কিশোরীর (১৫) সঙ্গে ছয় আগে পাশ্ববর্তী অফিসপাড়ার মো. আলমগীরের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমের সম্পর্কের সুবাদে ভ্রমণের কথা বলে কথিত প্রেমিক আলমগীর কিশোরীকে গত ১১ অক্টোবর চকরিয়া উপজেলার বদরখালীর বাজারে একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে যায়। সেখানে তারা রাতযাপন করেন এবং শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। সেদিনের অন্তরঙ্গ দৃশ্য কিশোরীর অজান্তে মোবাইল ফোনে ধারন করে রাখেন আলমগীর।
পুলিশ জানায়, ঘটনার কয়েকদিন পর ভিডিওটি আলমগীরের বন্ধু মো. আনোয়ারকে দেখায় এবং আনোয়ারও সংরক্ষণ করে রাখে। পরে ওই কিশোরীকে ভিডিওটি ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে কুপপ্রস্তাব দেয় এবং রাজি না হলে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেন। এক পর্যায়ে লোকলজ্জার ভয়ে মেয়েটি রাজি হয়ে যান। এবং বিভিন্ন সময় তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।
পুলিশ আরও জানায়, গ্রেপ্তার দু’জনের মানসিক ও শারীরিক চাপ সইতে না পেরে একপর্যায়ে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। পুরো ঘটনা তার মাকে খুলে বলেন।
সর্বশেষ ২৬ অক্টোবর মহেশখালী থানায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন সংশোধনী ও ২০১২ সালের পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে প্রেমিক আলমগীর ও তার বন্ধু আনোয়ারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মহেশখালী থানার অফিসার ইনর্চাজ মো. আব্দুল হাই জানান, বিষয়টি খুব গুরুতর অপরাধ। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে মায়ের জিম্মায় বাড়ি পাঠানো হয়েছে।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply