শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৭ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : নৌকা প্রতীক পাওয়ার পর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ পরিকল্পিত মিথ্যাচার ও নোংরা ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন রামুর রশিদনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মোয়াজ্জম মোর্শেদ।
শনিবার রাতে কক্সবাজার প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
মো. মোয়াজ্জম মোর্শেদ বলেন, আমি এক বছর আগেই আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার ঘোষনা দিয়ে এলাকায় পোষ্টার, লিফলেট বিতরণ, গণসংযোগ সহ নানাভাবে প্রচারনা চালিয়ে আসছি। কখনো কেউ আমার বিরুদ্ধে কোরপ্রকার অভিযোগ করতে পারেনি। শুধুমাত্র নৌকা প্রতীক পাওয়ার পরই আমার প্রতিপক্ষ মিথ্যা সংবাদ ছাপিয়ে আমার বিরুদ্ধে নোংরা ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে।
তিনি বলেন, সংবাদ মাধ্যমে ‘চট্টগ্রামের শিবির ক্যাডার মোয়াজ্জম মোর্শেদ নৌকার মাঝি’ শীর্ষক সংবাদসমূহ আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এসব সংবাদ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্য প্রনোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক।
সংবাদ সম্মেলনে মো. মোয়াজ্জম মোর্শেদ বলেন, সংবাদে শিবির ক্যাডার হিসেবে যে মোর্শেদ এর নাম ও ছবি ছাপা হয়েছে তার সাথে আমার বিন্দুমাত্র মিল নেই। আমি কখনো শিবিরের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম না। সংবাদে উল্লেখিত মাহমুদুল করিম নামের কাউকেও আমি চিনি না। যতটুকু জেনেছি, সংবাদের ছবিতে আটক হিসেবে দৃশ্যমান যুবকটির নাম মো. মোর্শেদ প্রকাশ লম্বা মোর্শেদ। তার বাড়ি ফেনীতে। কিন্তু একটি মহল আমাকে রাজনৈতিকভাবে ঘায়েল করার উদ্দেশ্যে আমার নামের শুধুমাত্র শেষাংসের সাথে মিল থাকায় ওই মো. মোর্শেদ এর বিষয়টিকে পূজি করে আমাকে ফাঁসিয়ে দেয়ার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। তাছাড়া শিবির নেতা মো. মোর্শেদ এর নামে দায়েরকৃত মামলার কপি তদন্ত করলে মোর্শেদ এর পরিচয় ও ঠিকানা পাওয়া যাবে। আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি, সে ছিলো শিবির ক্যাডার লম্বা মোর্শেদ। শিবির ক্যাডার মো. মোর্শেদ আটক হয় ২০১৪ সালে। কিন্তু তখন আমি কক্সবাজার সরকারি কলেজে বিএসসি (গণিত) এ অধ্যয়নরত ছিলাম। তাই ওই সময়ের ঘটনায় আমাকে জড়ানো ভিত্তিহীন। এইচএসসি পরীক্ষার পর ২০১১ সালের শুরুতে আমি কক্সবাজারে নিজ বাড়িতে চলে আসি। আমি যেহেতু কখনো শিবিরের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম না, তাই এসব মিথ্যা সংবাদে আমি বিন্দুমাত্র ভীত বা বিচলিত নয়। বরং এসব ষড়যন্ত্র আমাকে আরো বেশী এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা যোগায়।
উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমার নাম মোঃ মোয়াজ্জম মোর্শেদ, কিন্ত ছবিতে উল্লেখিত যুবকের নাম মো. মোর্শেদ। শুধু শেষাংসের মিল দেখে কাউকে আমাকে জড়িয়ে এভাবে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা চরম আপত্তিকর ও মানহানিকর। কারণ ছবিতে আটক শিবির ক্যাডার মো. মোর্শেদ এর ছবি ছাপা হয়েছে। আপনাদের প্রতি বিনীত অনুরোধ ওই ছবির সাথে আমার কি বিন্দুমাত্র মিল আছে? যদি না থাকে তাহলে আমার নামে এভাবে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের দায় কে নেবে। আর যদি ওই ছবির সাথে আমার মিল থাকে তাহলে আমি নির্বাচন দূরের কথা জীবনে কোনদিন রাজনীতিও করবো না।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে রশিদনগর ইউনিয়ন আওয়াামী লীগের সভাপতি বজল আহমেদ বাবুল, সাধারণ সম্পাদক সায়েম মোহাম্মদ শাহীন, রশিদনগর ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহ্বায়ক মিজানুল করিম প্রমুখ।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply