শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৫ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : রোহিঙ্গাদের শীর্ষস্থানীয় নেতা মো. মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের পর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার অনুরোধে উখিয়ায় কুতুপালং লম্বাশিয়া ইস্ট-১ ডি-৮ এর ওই ঘর থেকে পরিবারের নয়জন (স্ত্রী-ছেলে-মেয়ে) সদস্যদের অন্যত্র সরানো হয়েছে।
শুক্রবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) অধিনায়ক ও পুলিশ সুপার নাঈমুল হক।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর বূধবার রাত সাড়ে আটটার দিকে এশারের নামাজের শেষে আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি এন্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) অফিসে চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা হত্যা করেন। এরপর থেকে মুহিবুল্লার স্ত্রী নাছিমা খাতুনসহ নিকট আত্মীয় স্বজনদের অপরিচিত নম্বর থেকে মুঠোফোনে ভয়েস মেসেজ পাঠিয়ে হুমকি দিয়ে আসছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সংগঠনের একজন বলেন, বৃহস্পতিবারের মুহিব্বুল্লাহ স্ত্রী নাছিমা খাতুন, চার ছেলে চার মেয়েসহ নয়জনকে একই রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে আরেকটি ঘরে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক ও পুলিশ সুপার নাঈমুল হক বলেন, রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল থেকে পরিবারের সদস্যদের সরিয়ে রাখা হয়েছে। যেহেতু আলামত এলাকায় লোকজন যাওয়া-আসা করা নিষিদ্ধ তাই। শুধু মুহিবুল্লাহ পরিবার নয় রোহিঙ্গা ক্যাম্প নিরাপত্তা জোরদারের এপিবিএন পুলিশ কাজ করছে।
এ বিষয়ে মুহিবুল্লাহর ছোট বোনের জামাই ভগ্নিপতি মোহাম্মদ হোসেন বলেন, আমি অন্য রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। এরমধ্যে মুহিবুল্লাহর পরিবারকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে আগে জায়গা থেকে নতুন জায়গাটি তাদের জন্য নিরাপদ মনে হচ্ছে। এ জায়গার নাম বলা সম্ভব হচ্ছে না। তারা সেখানে ভালো আছে।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply