শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫৩ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভসংলগ্ন ঝিলংজা বনভূমির ৭০০ একর জায়গা বরাদ্দের কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ সোমবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।বিজ্ঞাপন
সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য আরেকটি প্রশিক্ষণ একাডেমি নির্মাণ করতে ‘রক্ষিত বনভূমির’ ৭০০ একর জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভসংলগ্ন ঝিলংজা বনভূমির ওই এলাকা প্রতিবেশগতভাবে সংকটাপন্ন। বন বিভাগ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির আপত্তি উপেক্ষা করে ভূমি মন্ত্রণালয় এই জমি বরাদ্দ দিয়েছে। বন বিভাগের দাবি, এই জমি তাদের।
৭০০ একর ভূমি বরাদ্দ–ইজারা না দিতে নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবীর গত সপ্তাহে রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। বিজ্ঞাপন
রুলে বন বিভাগ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির আপত্তি উপেক্ষা করে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওই জমি ইজারা দেওয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। পরিবেশ, ভূমি , মন্ত্রিপরিষদ এবং জনপ্রশাসন সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
পরে আইনজীবী শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবীর প্রথম আলোকে বলেন, কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভসংলগ্ন ঝিলংজা বনভূমির ৭০০ একর জায়গা প্রশাসন একাডেমির জন্য বরাদ্দ বা ইজারার কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
নথিপত্রে দেখা যায়, ২০১৮ সালে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন বঙ্গবন্ধু একাডেমি অব পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (বাপা) কার্যালয় নির্মাণের জন্য পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছে অনাপত্তিপত্র চায়। সংস্থাটি ওই বছরই ১৪টি শর্তে অনাপত্তিপত্র দেয়। পরিবেশ অধিদপ্তর মূলত প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়। এর মহাপরিচালকসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভাগগুলোর পরিচালকেরা প্রশাসন ক্যাডারের সদস্য।
কিন্তু বন বিভাগ ভূমি মন্ত্রণালয়কে লেখা চিঠিতে বলেছে, ১৯৯০ সালে জারি করা ভূমি মন্ত্রণালয়েরই একটি পরিপত্রে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড় ও পাহাড়ের ঢাল বন্দোবস্তযোগ্য নয় এবং ওই জমি মূলত বন বিভাগ বনায়নের জন্য ব্যবহার করবে। বন আইন অনুযায়ী, এ ধরনের রক্ষিত বনে কোনো ধরনের স্থাপনা করা নিষিদ্ধ।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply