শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১২ অপরাহ্ন
টেকনাফ প্রতিনিধি : টেকনাফে সাবরাং ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও বর্তমান মোরগ মার্কার প্রার্থী ফজলুল হকের উপর ইয়াবা কারবারিরা হামলা চালিয়েছে। ইউপি সদস্য ফজলুল হককে উদ্দেশ্যে মারধর করার পাশাপাশি জামা কাপড় ছিঁড়ে লাঞ্ছিত করা হয়। এই নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে ওই এলাকায়।
আজ সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রীপাড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শাহপরীর দ্বীপ পুলিশ ফাঁড়ির উপ পরিদর্শক(এস আই) জাহিদ হোসেন ।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, আজ বিকেল ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে মাদ্রাসার মাঠে ফজলুল হক এর সমর্থনে একটি নির্বাচনী জনসভা হওয়ার কথা ছিল। এরমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত মাদক চোরাচালানি সিন্ডিকেটের চট্টগ্রামভিত্তিক চোরাকারবারি হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে আজ বিকেলে
সন্ত্রাসী রশিদ আহমদের ছেলে সাইফুল ইসলাম ও আলী হোসেন, আরমান , রশিদ আহমদ, আবুল কালাম, রেজাউল করিম, মোহাম্মদ হোসেন লোহার রড লাঠিসোটা নিয়ে ফজলুল হকের উপর হামলা চালায়। এসময় তাকে প্রচুর মারধর করা হয় এবং লাঞ্ছিত করা হয়। স্থানীয় লোকজন খবর পেলে ফজলুল হককে উদ্ধারের জন্য গেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রীপাড়া উত্তেজনা উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। এবং সঙ্গে সঙ্গে শাহপুরীর দ্বীপ পুলিশ ফাঁড়িকে অবহিত করা হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের মাদক তালিকায় হাবিবুর রহমান চট্টগ্রাম ভিত্তিক চোরাকারবারির সিন্ডিকেটের প্রভাবশালী সদস্য ও মিয়ানমার এলাকা থেকে ইয়াবা পাচারকারীদের ৭জনের
তালিকায় হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিব মেম্বারের নাম এক নম্বরে রয়েছে। ২০১৮ সালের ৪ মে সারাদেশের ন্যায় টেকনাফে মাদক বিরোধী অভিযান শুরু হলে শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রীপাড়া বাড়িঘর ফেলে হাবিবুর রহমান পলাতক হয়ে পড়েন। বর্তমানে মাদক বিরোধী অভিযান থেমে থাকায় এলাকায় এসে নির্বাচনের পাশাপাশি মাদক ব্যবসা নির্বিঘ্নে করার জন্য তৎপর হয়ে পড়েছেন।
আহত ইউপি সদস্য ফজলুল হক বলেন, গত ছয় মাস আগে থেকে ইয়াবা কারবারি হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিব মেম্বার ও সন্ত্রাসী রশিদ আহমদ আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছিলেন। নির্বাচনের আগে ইয়াবা দিয়ে আমাকে জেলহাজতে পাঠানোর পাশাপাশি কেন্দ্র দখল করে ভোট ডাকাতি করার হুমকি দেন।
এ ব্যাপারে বক্তব্য নেওয়ার জন্য হাবিবুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
শাহপরীর দ্বীপ পুলিশ ফাঁড়ির উপ পরিদর্শক জাহিদ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিলাম। এ ব্যাপারে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে তবে কাউকে নির্বাচনী মাঠ নষ্ট করতে দেওয়া হবে না।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply