রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৬ পূর্বাহ্ন
আজ রোহিঙ্গা ঢলের (Rohingya Influx) চার বছর। আজ থেকে ঠিক চার বছর আগে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্বিচার গণহত্যা, নিষ্ঠুর নির্যাতন, ধর্ষণ, গ্রামের পর গ্রামে অগ্নিসংযোগ ও ভয়াবহ জেনোসাইড থেকে বাঁচার জন্য বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় গ্রহণ করেছিল। বিশ্ব অবাক হয়ে দেখছিল বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের সীমান্তে সাম্প্রতিককালের সবচেয়ে বড় মানবিক বিপর্যয়।
বাংলাদেশ
আগে থেকেই প্রায় ৪ লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার অভিজ্ঞতা থেকে
কোনোভাবেই নতুন কোনও রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিতে চায়নি। কিন্তু মানবতার এমন
বিপর্যয়ে কোনও সংবেদনশীল মানুষের পক্ষে মুখ বুজে সহ্য করা সম্ভব নয়। তাই,
বাংলাদেশ একান্ত মানবতার খাতিরে চরম মানবিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করার জন্য
লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন জাতীয় ও
আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে সবার সহযোগিতা নিয়ে বাংলাদেশ
অত্যন্ত দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে এ বিপুল সংখ্যক শরণার্থী ব্যবস্থাপনার
দায়িত্ব পালন করছে বিগত চার বছর ধরে। আমরা বিগত চার বছর ধরে রোহিঙ্গা
সমস্যা সমাধানে নানামুখী উদ্যোগ এবং দৌড়ঝাঁপ করেছি, কিন্তু কোনও কিছুই এখনও
আলোর মুখ দেখেনি। তাই, রোহিঙ্গা ঢলের চার বছর পরে এসে, রোহিঙ্গা সমস্যা
সমাধানের বিষয়ে নতুন করে ভাবনা-চিন্তা করা জরুরি হয়ে উঠেছে।
প্রতি
বছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসকারী রোহিঙ্গা ডাইয়াসপোরা জনগোষ্ঠী,
বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে বসবাসরত রোহিঙ্গা শরণার্থী, বিভিন্ন
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন ও সংস্থা, এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সক্রিয়
বিভিন্ন অধিকার কর্মী এ দিনটিকে ‘রোহিঙ্গা জেনোসাইড স্মরণ দিবস’ (Rohingya
Genocide Remembrance Day) হিসেবে পালন করে। এ দিনে রোহিঙ্গারা ২০১৭ সালের
আগস্টে এবং সেপ্টেম্বরে সংঘটিত জেনোসাইডের বিচার চেয়ে বিশ্ববাসীর কাছে
ন্যায় বিচারের আহ্বান জানায়। তবে, প্রতি বছর ‘রোহিঙ্গা জেনোসাইড স্মরণ
দিবস’ পালন করা হয় ঠিক, কিন্তু এ অমানবিক জেনোসাইড ও নির্মম হত্যাকাণ্ডের
চার বছর হলেও রোহিঙ্গাদের জন্য কোথাও কোনও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সে
রকম কোনও নজির আমরা দেখিনি। ফলে, ‘রোহিঙ্গা জেনোসাইড স্মরণ দিবস’ কেবলই
আনুষ্ঠানিকতায় পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশেও এটা একটি বাৎসরিক বিশেষ দিবসে রূপ
নিয়েছে। আমিও প্রতি বছর আগস্টের ২৫ তারিখ রোহিঙ্গা ঢলের বছর গুনে গুনে
লেখালেখি করি এবং বিগত এক বছরে রোহিঙ্গাদের জীবনের প্রধান ঘটনাগুলোর একটা
সারসংক্ষেপ তৈরি করে রোহিঙ্গা সমস্যা কোনও জায়গায় আছে এবং সমস্যা সমাধানের
বিষয়টি কোথায় আটকে আছে সেটা উপলব্ধি করার চেষ্টা করি।
এ লেখাতেও আমি
বিগত এক বছরের (২০২০ সালের ২৬ আগস্ট থেকে ২০২১ সালের ২৫ আগস্ট)
রোহিঙ্গাদের জীবনের প্রধান ঘটনাগুলোর একটি সংক্ষিপ্ত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা
করছি।
গত বছরটিতে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জীবনে অন্যতম প্রধান একটি
ইস্যু ছিল করোনাভাইরাস। সারা বিশ্বকে একটা সজোরে ধাক্কা দেয় এ ভাইরাস,
অসহায় রোহিঙ্গাদেরও রেহাই দেয়নি! ২০২০ সালের মার্চের ৮ তারিখ বাংলাদেশে
প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও এর ব্যাপক
সংক্রমণ হতে পারে এ রকম একটি ধারণা ও আশঙ্কা করা হলেও শুরুতে অবস্থা অতটা
খারাপ ছিল না। কিন্তু ক্রমান্বয়ে পরিস্থিতি খারাপতর হতে শুরু করে। অবস্থা
এমন একটা পর্যায়ে এসে দাঁড়ায় যে ২০২১ সালের মে মাসের শেষের দিক থেকে জুনের
শুরু পর্যন্ত জাতীয়ভাবে চলমান লকডাউনের বাইরে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প-২,
কুতুপালং ক্যাম্প-৩, কুতুপালং ক্যাম্প-৪, জামতলি ক্যাম্প-১৫ এবং টেকনাফের
লেদা ক্যাম্প-২৪ কে কঠোর লকডাউন দেওয়া হয় দুই সপ্তাহের জন্য। সর্বশেষ (২৪
আগস্ট, ২০২১, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আরআরআরসি) হিসাব অনুযায়ী রোহিঙ্গা
ক্যাম্পে ২৮১৭ জন রোহিঙ্গা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয় এবং এ ভাইরাসে মৃত্যুর
সংখ্যা প্রায় ৩০ জন। করোনার টেস্ট করানো হয়েছে সর্বমোট ৫৭, ৮৪৫ জনকে।
টোটাল কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল ৯৪১২ জনকে। রোহিঙ্গাদের মধ্যে
করোনাভাইরাসের একটা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ২০২১ সালের এপ্রিল, মে এবং জুনে। তবে,
সেটা ক্রমান্বয়ে ক্রমে এসেছে। আগস্ট থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তায়
৫৫ বছরের ঊর্ধ্বে রোহিঙ্গাদের করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে। মোট ৫০
হাজার রোহিঙ্গাকে প্রাথমিক পর্যায়ে ভ্যাসকিন দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে।
ভাইরাস, অতিমারি এবং ভ্যাকসিন প্রাপ্তির অধিকার প্রভৃতির বিবেচনায়
বাংলাদেশে বসবাসরত রোহিঙ্গা শরণার্থীদেরও কোনোভাবে বঞ্চিত করা হয়নি।
এ
বছরে রোহিঙ্গাদের জীবনের আরেকটি ইস্যু ছিল পর পর বেশ কয়েকটি আগুন লাগার
ঘটনা এবং অসংখ্য বাড়িঘর পুড়ে যাওয়া। সর্বশেষ জুলাইয়ের ২০ তারিখ উখিয়ার
বালুখালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে (ক্যাম্প-৯, এইচ-২ ব্লক) আগুন লেগে প্রায় ৬৩টি
বাড়িঘর পুড়ে যায়। ধারণা করা হয়, গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত। এবং
আগুন নেভাতে গিয়ে বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা আহত হয়। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে,
রোহিঙ্গাদের আবাসন কাঠামো এবং ঘর তৈরির উপাদানগুলো আগুন ছড়িয়ে পড়ার জন্য
সহায়ক।
ফলে, একবার আগুন লাগলে সেটা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং আগুন নেভানো খুবই কষ্টকর হয়ে যায়। মার্চের ২২ তারিখও উখিয়ার বালুখালীসহ পাঁচটি শরণার্থী শিবিরে আগুন লেগে প্রায় ১০ হাজার ঘরবাড়ি পুড়ে যায়। ৬টি শিশুসহ প্রায় ১১ জন রোহিঙ্গার মৃত্যু ঘটে। প্রায় ৪৫০ রোহিঙ্গা আহত হয়। এ পাঁচটি শিবিরের আগুনের ঘটনায় প্রায় ৪৫ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে।
এ
বছর আরও একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা হচ্ছে, প্রবল বর্ষণে এবং পাহাড়ি ঢলে
রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে বন্যার অভিজ্ঞতা। জুলাইয়ের শেষে দিকে ভারী বর্ষণ ও
পাহাড়ি ঢলের কারণে পালংখালী ইউনিয়নের শরণার্থী শিবির ১০ এবং ১৮-তে তুমুল
বন্যা হয়। বন্যা ও ভূমিধসের কারণে তিন শিশুসহ ছয় জনের মৃত্যু হয়। প্রায় ১৭
হাজারের অধিক রোহিঙ্গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রায় ৪ হাজার ঘরবাড়ি নষ্ট হয়।
প্রায় ১৩ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গাকে স্থানান্তরিত করা হয়। বিগত চার বছরের
মধ্যে এ প্রথম রোহিঙ্গা শরণার্থীদের এ রকম একটি অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে যেতে
হয়েছে।
এ বছর রোহিঙ্গাদের জীবনের আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে প্রায় ১৮ হাজারের অধিক রোহিঙ্গা শরণার্থীকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা।
এটা নিয়ে নানান বিতর্ক তৈরি করা হয়েছে। মূল বিতর্ক ছিল তিনটি:
(১)
রোহিঙ্গাদের তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে
মানবাধিকার সংগঠনগুলোর অভিযোগ। যদিও সেটা সরকারের পক্ষ থেকে অস্বীকার করা
হয়;
(২) ভাসানচরের জন্ম হয়েছে মাত্র ২০ বছর এবং এ দ্বীপ এখনও মানুষের বসবাসের উপযোগী কিনা সেটা সন্দেহ আছে; এবং
(৩) জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাকে ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর প্রক্রিয়া সম্পৃক্ত করা হয়নি। এ নিয়ে নানান তর্কবিতর্ক থাকলেও রোহিঙ্গাদের মধ্যে ক্রমান্বয়ে ভাসানচরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ তৈরি হয় এবং বেশ কিছু রোহিঙ্গা ভাসানচরে স্বেচ্ছায় যেতে রাজি হয়। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি এবং বর্ষা মৌসুমের কারণে ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তর প্রক্রিয়া আপাতত বন্ধ আছে। কিন্তু ভাসানচরে স্থানান্তর প্রক্রিয়ার সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হয়েছে নতুন ইস্যু: রোহিঙ্গারা ভাসানচর ছেড়ে পালাচ্ছে। এবং পালাতে গিয়ে প্রচুর রোহিঙ্গা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছে এবং অনেক রোহিঙ্গা সাগরে নিখোঁজ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে।
সম্প্রতি
জাতিসংঘ ভাসানচরে রোহিঙ্গা ব্যবস্থাপনায় সম্পৃক্ত হওয়ার ব্যাপারে
নীতিগতভাবে রাজি হয়েছে কিন্তু ভাসানচর থেকে রোহিঙ্গাদের এ ক্রমবর্ধমান
পলায়নপর প্রবণতা একটা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে সামনে এসেছে।
এ বছরে
আরও যে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুটি সামনে এসেছে, সেটা হচ্ছে রোহিঙ্গাদের মধ্যকার
বিভিন্ন গ্রুপের আন্তকোন্দল ও সে আন্তগ্রুপের সংঘাতে প্রচুর রোহিঙ্গার খুন
হওয়ার ঘটনা। ২০২০ সালের অক্টোবরের ৬ তারিখ কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে দুই
গ্রুপের (মুন্না বাহিনী ও অ্যান্টি-মুন্না বাহিনী) মধ্যকার উন্মুক্ত
গোলাগুলিতে ৪ জন নিহত হয়। ঠিক তার কয়েকদিন আগে অক্টোবরের ২ এবং ৩ তারিখেও
বিবদমান দুই গ্রুপের উন্মুক্ত গোলাগুলিতে ৪ জন রোহিঙ্গা নিহত হয়।
আমি
অন্য লেখায় লিখেছিলাম, “সংবাদপত্রের ভাষ্যমতে ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারের
জের ধরে এসব দ্বন্দ্ব-সংঘাতের সূত্রপাত এবং এ আধিপত্য কায়েম করাকে কেন্দ্র
করেই এসব হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। এছাড়া মিডিয়ার ভাষ্যমতে ইয়াবা পাচার, মাদক
ব্যবসা এবং অবৈধ অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গেও এসব হত্যাকাণ্ডের সম্পৃক্ততা রয়েছে।
আবার মিয়ানমারের সামরিক গোয়েন্দাদের সহায়তা এবং অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে
এসব বিবাদমান দলের মধ্যে সংঘাত সৃষ্টি করার অভিযোগও পাওয়া যায়। কেউ কেউ
এটাকে নিবন্ধিত এবং অনিবন্ধিত রোহিঙ্গাদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব-সংঘাতের ফল
হিসেবেও উপস্থাপনার চেষ্টা করেন।” ঘটনার পেছনে কারণ যাই থাক না কেন, ঘটনা
যে ঘটেছে সেটা সত্য এবং এসব ঘটনার মধ্য দিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরে এবং
বাইরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যে অবনতি ঘটছে সেটাই প্রকারান্তরে প্রমাণিত
হয়।
পরিশেষে বলবো, এভাবে একটি একটি করে বছর কেটে যাচ্ছে এবং যাবে
কিন্তু বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের কোনও
উদ্যোগ আমরা লক্ষ করছি না। যেহেতু মিয়ানমার নিজে থেকে স্ব-উদ্যোগী হয়ে
প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য এগিয়ে আসবে না, সেহেতু বাংলাদেশকেই
নিজ তাগিদে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করার উদ্যোগ নিতে হবে। আর যেহেতু
প্রত্যাবাসন ছাড়া রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী কোনও সমাধান নাই, সেহেতু
প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে পুনরায় শুরু করাটা জরুরি।
রোহিঙ্গারা পৃথিবীর সবচেয়ে নির্যাতিত জনগোষ্ঠী হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিত।
তাদের রয়েছে একটি অত্যন্ত নিষ্ঠুর অত্যাচার ও নির্যাতনের দগদগে অতীত। এবং
বর্তমানটাও কোনোভাবেই সুখকর নয়। ভিন দেশে শরণার্থী হিসেবে বসবাস করার মধ্যে
কোনোভাবেই আত্মতৃপ্তি, আত্মসম্মান ও আত্মমর্যাদা থাকতে পারে না। তাছাড়া,
বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের শরণার্থী হিসেবেও স্বীকার করে না, যদিও সেটার নানান
আইনি এবং কারিগরি দিক আছে। তাই, প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে নাগরিকত্বের
নিশ্চয়তা নিয়ে, এবং জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার মধ্যেই
রোহিঙ্গাদের একটি নিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিহিত আছে। ফলে, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া
শুরু করার মধ্যেই বাংলাদেশ এবং রোহিঙ্গা উভয়েই মঙ্গল। এবং এ ক্ষেত্রে
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও সমানভাবে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে, যাতে
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা যায়।
লেখক: নৃবিজ্ঞানী ও অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। লেখাটি বাংলাট্রিবিউন থেকে নেয়া।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply