শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২২ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : রামুতে ‘প্রতিবেশীর তামাক ক্ষেতে দিনমজুরী বাবদ পাওনা টাকা দাবিকে’ কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিরোধের জেরে ‘বিয়ের মাত্র তিনদিন আগে’ এক তরুণীর মুখ এসিড ছুঁড়ে ঝলছে দিয়েছে দূর্বৃত্তরা।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, সোমবার ভোর রাতে রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের মাঝিরকাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
ভূক্তভোগী তরুণী তৈয়বা বেগম (২২) রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের মাঝিরকাটা এলাকার মোজাফ্ফর আহমদের মেয়ে।
সে এখন কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ভূক্তভোগী পরিবারের বরাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল বলেন, গত তিন মাস আগে ভূক্তভোগী তরুণী তৈয়বা বেগমের ছোট ভাই আজিজ মওলা প্রতিবেশী বাদশা মিয়ার তামাক ক্ষেতে দিনমজুর কাটে। তার ভাই মজুরী বাবদ কিছু টাকা পাওনা ছিল।
“ এ নিয়ে বাদশা মিয়ার ছেলে নুরুল আবছারের সঙ্গে আজিজ মওলার মধ্যে মতবিরোধের সৃষ্টি হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নুরুল আবছার সঙ্গীয় লোকজন নিয়ে মাস-দু’য়েক আগে তৈয়বাদের বাড়ীতে হামলা চালায়। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী পরিবার আদালতে মামলা করার প্রচেষ্টায় ছিল। ”
ভূক্তভোগী পরিবারের দাবির বরাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, “ মামলা দায়ের করার প্রচেষ্টার ঘটনায় দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এরই মধ্যে আগামী শুক্রবার প্রতিবেশী গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে সামাজিকভাবে তৈয়বার বিয়ের দিন ধার্য ছিল। এতে পূর্ব বিরোধের জেরে তৈয়বার বিয়ে ভন্ডুলের চেষ্টা চালায় নুরুল আবছার। এ নিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি ভূক্তভোগী পরিবারের। ”
ভূক্তভোগী তরুণীর মা নূর আয়েশা বলেন, আগামী শুক্রবার প্রতিবেশী গ্রাম জাউচের এক যুবকের সঙ্গে তৈয়বার বিয়ের দিন ধার্য ছিল। খবরটি জানার পর প্রতিপক্ষ নুরুল আবছার হবু বরের বাড়ীতে গিয়ে তৈয়বার নামে নানা ধরণের কুৎসা রটায়।
“ নুরুল আবছার বিভিন্ন স্থানে প্রচার চালায় যেকোন ভাবে তৈয়বার বিয়ে ভন্ডুল করবে। এ নিয়ে সোমবার ভোর রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে আমার সঙ্গে তৈয়বা বাড়ী থেকে বের হয়। এসময় পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা নুরুল আবছার ও অজ্ঞাত এক ব্যক্তি তৈয়বাকে লক্ষ্য করে এসিড ছুঁড়ে মারে।
তিনি বলেন, “ এতে তৈয়বার বাম পাশের মুখমন্ডল ঝলছে যায়। আঘাতের কারণের বাম চোখ থেকে পানি ঝরছে। এ ঘটনায় তৈয়বার শোর-চিৎকারে পরিবারের স্বজন ও প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে দূর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে উপস্থিত লোকজন তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। ”
এ ঘটনার ব্যাপারে গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে মৌখিকভাবে অবহিত করা হয়েছে বলে জানান ভূক্তভোগী তরুণীর মা নুর আয়েশা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম জানান, ভূক্তভোগী তরুণী এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply