শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:২৭ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ইনানী সৈকতে গোসলে নেমে পর্যটকের মৃত্যু নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ ও নিরাপদ পর্যটনের জন্য ‘সমুদ্র সন্ধ্যা’ রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে জি থ্রি রাইফেল সহ আরসা কমান্ডার আটক টেকনাফের পাহাড়ে জেল ফেরত যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার টেকনাফে ৭ লাখ টাকা মালামাল নিলামে সর্বোচ্চ ডাককারি স্থল বন্দরের বিশিষ্ট আমদানি ও রপ্তানি কারক সিআইপি ওমর ফারুক টেকনাফের নিকটবর্তী মিয়ানমারের ‘লালদিয়া’ নিয়ন্ত্রণে তীব্র সংঘাত : গুলি আসছে স্থলবন্দর ও আশে-পাশের এলাকায় কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার রামুতে বড় ভাই হত্যা মামলায় ছোট্ট ভাই গ্রেপ্তার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিদেশি পিস্তল ও গুলিসহ এক রোহিঙ্গা আটক সৈকতে নারী হেনস্তাকারি ফারুকুলের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

কক্সবাজারে কঠোর লকডাউনের প্রথম দিনে দন্ডিত ১৭২ জন, ৯১৬৫০ টাকা জরিমানা আদায়

বিশেষ প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে লকডাউনের বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে কঠোর অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবুও অকারণে বা খোঁড়া অজুহাতে ঘরের বাইরে বের হচ্ছে মানুষ।

বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) বিধিনিষেধ অমান্য করে ঘর থেকে বের হয়ে সড়কে ঘোরাঘুরি ও অযাচিত যানবাহন চলাচল করার কারণে ১৭২ জনকে দন্ডিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬১টি মামলায় জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৯১ হাজার ৬৫০ টাকা।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সাদিয়া সুলতানা বলেন, জেলায় ৩৭ জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, সেনা বাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব সহ অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টহল অব্যাহত রেখেছে। কঠোর লকডাউনের প্রথম দিন জেলায় ৫০টি অভিযানে ১৬১টি মামলা দায়ের করা হয়। দন্ডিত ১৭২ জনের কাছ থেকে ৯১ হাজার ৬৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। সবাই অকারণে বা খোঁড়া অজুহাতে ঘরের বাইরে বের হয়ে ঘোরাঘুরি ও অপ্রয়োজনে যানবাহন নিয়ে বের হবার কারণে এই মামলা ও জরিমানা আদায় করা হয়। তবে প্রথম দিন কাউকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়নি।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দেখা যায়, অপ্রয়োজনীয় যানবাহনগুলো শহরে ঢোকার জন্য মরিয়া। কিন্তু তার আগেই বাস টার্মিনাল ও কলাতলীর মোড় এলাকায় অবস্থান নেয় পুলিশ, বিজিবি, সেনাবাহিনী, আনসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটরা। পন্যবাহী গাড়ি ছাড়া বাকি সব গাড়িকে যাছাই করে অপ্রয়োজনীয় যানবাহনগুলোকে আটক করে জরিমনা করা হচ্ছে।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান বলেন, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে কঠোর বিধি-নিষেধ বাস্তবায়নের জন্য ভোর থেকে জেলা পুলিশের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে মাঠে এবার পুলিশের সদস্য সংখ্যা অনেক বেশি। পুরো কক্সবাজার জেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পুলিশের অনেকগুলো মোবাইল টিম মাঠে রয়েছে। এছাড়াও হাইওয়েগুলোতে ৮টি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। অর্থাৎ কঠোর লকডাউনের বিধি-নিষেধের আওতা বর্হিভূত যে সমস্ত মানুষ এবং যানবাহন চলাচল করছে এগুলো কঠোর নজরদারির মধ্যে রয়েছে। পাশাপাশি বেশ কিছু মোটর সাইকেল ও প্রাইভেট কার জব্দ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা হচ্ছে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, জেলায় সকাল থেকে ৩৭ জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জেলা ও উপজেলাগুলোতে কাজ করেছে। পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব, আনসারসহ প্রশাসন এমনভাবে সমন্বয় সঙ্গে কাজ করছি, যাতে লকডাউনের সর্বাত্মক যে কঠোর বিধি-নিষেধের বার্তা কারণে মানুষের ধারণা হয়েছে যা মানতে হবে। না মানলে আইন প্রয়োগ করতে হবে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে এই আইন প্রয়োগও করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888