রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১৩ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : পুলিশকে অপরাধী ধরতে সহায়তা করায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে অস্ত্র গোলাবারুদ জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফেরা এক যুবকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ির উত্তর রাজঘাটে বেড়াতে ওয়াপদা পাড়ায় এ হত্যার ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, কিছু সন্ত্রাসী যুবকে কোহেলিয়া নদীর পাড়ে কুপিয়ে ও চোখ উপড়ে পেলে হত্যা করে নদীতে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় এলাকাবাসীরা দেখতে পেলে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও পুলিশকে খবর দেয়। পরে এএসপি নেতৃত্বে একটি পুলিশ টিম ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
নিহত হলেন, মহেশখালীর কালারমার ছড়ার উত্তর নলবিলার মৃত আব্দুস ছাত্তারের পুত্র মোহাম্মদ একারাম (৩০)।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে কালারমার ছড়ার উত্তর নলবিলা এলাকা থেকে কবির নামে এক ব্যক্তিকে জনতা আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।
নিহত একরামের মামাতো ভাই হায়দার জানান, একরাম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে অস্ত্র গুলাবারদ জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করে আলোর পথে এসে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছিলেন। কিন্তু সম্প্রীতি সময়ে মহেশখালীর কালারমার ছড়ার চালিয়াতলী ও মাতারবাড়ি সড়কে ডাকাতি করলে ডাকাতদের কে ধরতে প্রশাসনকে সহযোগিতা করে আসছিলেন একরাম। এসময় চিহ্নিত সন্ত্রাসী কবির পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। সম্প্রতি কবির জামিনে বের হয়ে পরিকল্পিত ভাবে সহযোগিদের নিয়ে একরামকে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
নিহতের মামা কালারমার ছড়ার ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার লিয়াকত আলী খান বলেন, একরাম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে আত্মসমর্পণ করে আলোর পথে এসেছিল। কিন্তু স্থানীয় কিছু মানুষের ইন্ধনে চিহ্নিত সন্ত্রাসী কবিরের নেতৃত্বে কয়েকজন সন্ত্রাসী হত্যা করে।
মাতারবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, ঘটনাটি শুনার পর, আমিসহ আমার ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদারদের নিয়ে ঘটনাস্থলে আসি। উপস্থিত এলাকাবাসীর কাছ থেকে পুরো ঘটনা শুনে আমার বোধগম্য হয়। এটা পুরোপুরি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। এ ধরনের ঘটনা সত্যিই নিন্দাজনক। এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের শাস্তি দাবি জানাচ্ছি।
মহেশখালী থানার ওসি আব্দুল হাই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মহেশখালী-কুতুবদিয়ার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) সহ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকান্ডের সাথে যারা জড়িত বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply