বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫১ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজার শহরের উত্তর বাহারছড়া এলাকায় সংযুক্ত আরব-আমিরাতে প্রবাসী এক নারীর মালিকানাধীন জায়গা ও বসত ঘর ভাড়াটিয়া কর্তৃক দীর্ঘদিন ধরে জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার বিকালে কক্সবাজার শহরের অভিজাত এক হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন প্রবাসী নারী ড. রোকিয়া বেগম।
ড. রোকিয়া বর্তমানে সংযুক্ত আরব-আমিরাতের দুবাই শহরের বসবাস করছেন। তার বাবা মরহুম আলতাফ মিঞার বাড়ী চকরিয়া উপজেলার পূর্ব বড়-ভেওলা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে। স্বামী মনির আহমদের বাড়ী উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের ওয়ালাপালং এলাকায়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ড. রোকিয়া বেগম বলেন, দুবাই প্রবাসী মনির আহমদের সঙ্গে বিয়ের পর থেকে তিনি সেখানেই স্ব-পরিবারে বসবাস করে আসছিলেন। এখনো তিনি দুবাইতেই প্রবাস জীবনযাপন করছেন। তার বাবা আলতাফ মিঞা জীবিত থাকাকালে কক্সবাজার শহরের উত্তর বাহারছড়া এলাকায় জনৈক ব্যক্তির কাছ থেকে ৪ শতক জায়গা রেজিস্ট্রি কবলা মূলে ক্রয় করেন। এরপর তার (আলতাফ মিঞা) নামে চুড়ান্ত খতিয়ান সৃজিত হয়েছে। যেটির নম্বর বিএস-১৯০২। পরে তিনি ক্রয়কৃত জায়গায় ঘেরা-বেড়া দিয়ে একটি বসত ঘরও নির্মাণ করেন। আলতাফ মিঞার মৃত্যুর পর ওই জায়গার স্বত্তাধিকারী হন ড. রোকিয়া বেগমসহ অপরাপর ভাই-বোন। এরপর সকল ওয়ারিশদের নামে ওই জায়গাটির আরেকটি খতিয়ান সৃজন করা হয়। যেটির নম্বর বিএস-২৫২৩।
তিনি আরো বলেন, “ পরবর্তীতে জায়গাটির সকল ওয়ারিশদের (ভাই-বোন) কাছ থেকে রেজিস্ট্রি কবলা মূলে আমি ও ছেলে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর মনির রুবেল নামে ক্রয় করি। পরে আরেকটি নতুন খতিয়ান সৃজন করা হয়। যেটির নম্বর বিএস-৪০৪১। এরপর আমার দেবর হামিদুল হককে বসত ঘরসহ জায়গাটি দেখভালের জন্য দায়িত্ব অপর্ন করি। এরই মধ্যে বিগত ২০০৭ সালের ১৮ নভেম্বর স্থানীয় মোহাম্মদ ফজলুল কাদের ও তার স্ত্রী সাবেকুন্নাহার বসত ঘরটি ভাড়া নেয়। পরবর্তীতে হামিদুল হকের অনুপস্থিতিতে বসত ঘরসহ জায়গাটি জোরপূর্বক জবরদখলে নেয় ফজলুল কাদের ও তার পরিবার। ”
ড. রোকিয়া অভিযোগ করে বলেন, ফজলুল কাদের যখন জায়গাটি জবরদখলে নিয়েছিল ওই সময় তিনি স্ব-পরিবারে দুবাইতে প্রবাসে অবস্থানরত ছিলেন। নানাভাবে প্রচেষ্টা চালানোর পরও তিনি বসত ঘরসহ জায়গাটি উদ্ধারে ব্যর্থ হন। এক পর্যায়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও আইন আদালতের আশ্রয় নিলেও এখনো পর্যন্ত জায়গাটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
“ এ নিয়ে জায়গাটি জবরদখলকারি মোহাম্মদ ফজলুল কাদের এর সঙ্গে কয়েকবার সমঝোতা বৈঠক করলেও প্রতিবারই আমাকে অপদস্ত করা হয়। সেই থেকে তিনি সন্ত্রাসী কায়দায় আমার জায়গাটি জোরপূর্বক ভোগদখল করে আসছিল ” বলেন প্রবাসী এ নারী।
শেষ পর্যন্ত নিরুপায় হয়ে দখলকৃত সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশসন ও আইন-শৃংখলা বাহিনীর সংশ্লিষ্টদের প্রতি দাবি জানিয়েছেন দুবাই প্রবাসী ড. রোকিয়া বেগম।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply