শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৩ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : টেকনাফের এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ১৭ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ৭ সদস্যের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সোমবার কক্সবাজার জেলা দায়েরা ও জজ আদালতে ২ জনের স্বাক্ষি গ্রহণের মধ্য দিয়ে এ বিচার কার্যক্রম শুরু হল বলে জানিয়েছেন পিপি এডভোকেট ফরিদুল আলম।
তিনি জানান, বিচার কার্যক্রমে প্রথম দিন বিজ্ঞ জেলা দায়েরা ও জজ মোহাম্মদ ইসলাম ২ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন। প্রথম দিন মামলার বাদি আবদুল গফুর এবং স্বাক্ষী বাদি ভাই মনিরুজ্জামান স্বাক্ষ্য দেন। মঙ্গলবার আরো ৩ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে।
গত ২৫ অক্টোবর ভোরে ভিকটিমের পরিবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ সড়কে একটি মাইক্রোবাসে তল্লাশি চালিয়ে মুক্তিপণের ১৭ লাখ টাকাসহ ডিবির ছয় সদস্যকে আটক করে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। গাড়ির গ্লাস ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার পর জড়িত অন্য একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত পুলিশ সদস্যরা হলেন-এসআই মনিরুজ্জামান (৩৫), এসআই আবুল কালাম আজাদ (৩৯), এএসআই গোলাম মোস্তফা (৩৬), এএসআই ফিরোজ আহমদ (৩৪), এএসআই আলাউদ্দিন (৩২), কনস্টেবল মোস্তফা আজল (৫২) ও কনস্টেবল মো. আল আমিন (২৬)।
এ ঘটনায় ডিবির সাতজনকে আসামি করে টেকনাফ থানায় অপহরণ ও চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে মামলা করেন সেই ব্যবসায়ী গফুর আলম। ২৬ অক্টোবর কক্সবাজারের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেন অভিযুক্ত সবাইকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আটকের পরই তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে মর্মে একটি অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদন জমা দেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আফরুজুল হক টুটুল। এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সাতজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
গত ৩০ অক্টোবর মামলাটির তদন্তভার পায় পিবিআই। তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি সদস্যদের আটকের সময় উপস্থিত সেনাসদস্যদের বক্তব্য নেন। আটকের সময়ের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেন। আসামিদের রিমান্ডে নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে এ মামলার অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। এরপর চার্জ গঠণ করা বিচার কার্যক্রম শুরু হল। ইতিমধ্যে কারাগার থেকে ৭ সদস্য জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। তবে স্বাক্ষ্য গ্রহণকালে অভিযুক্তরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply