বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:২৯ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের সাথে মানুষের ঢল, উচ্ছ্বাস আর উল্লাসে প্রাণের সঞ্চার খুঁজতে ব্যস্ত সবাই। টানা ৩ দিনের ছুটিকে কেন্দ্র করে সমুদ্র নগরী কক্সবাজারে এখন যেন পর্যটকে ভরপুর। যেখানে উপেক্ষিত হয়ে গেছে করোনা আতংক। এখানে যেন শংকায় জীবনের ঝুঁকি ভুলে গেছেন সবাই। তবে সৈকতের লাইফগার্ড ও ট্যুারিস্ট পুলিশের পক্ষে নিরাপত্তার পাশাপাশি মাস্ক পরিধান ও সচেতনতার প্রচারণা চালানো হলেও তা কার্যত মানছেন না পর্যটকরা।
সংশ্লিষ্টদের মতে, মহান একুশে ফেব্রুয়ারি সহ শুক্রবার থেকে টানা ৩ দিনের ছুটির কবলে পড়েছে দেশ। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে খানিকটা প্রশান্তির সন্ধানে কক্সবাজারে নেমেছে পর্যটকের ঢল। শুক্রবার সকাল থেকে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে পর্যটকের ভীড় বাড়তে থাকে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে পর্যটকে ভরপুর হয়ে উঠেছে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট। এসব পর্যটকরা সৈকতে গোসল সহ ঘুরা-ঘুরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। কক্সবাজার ভ্রমণ যেন তাদের কাছে অন্য এক আনন্দের। যদিও করোনা জন্য মাস্ক পরিধান সহ শাররিক দূরত্ব মেনে চলার শর্ত ছিলো। যার কিছুই মানছেন না পর্যটকরা। এতে সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ করোনাকে ভুলিয়ে দিয়েছে এমনটাই অভিমত অনেক পর্যটকের।
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক আসিফুল হুদা জানান, তারা ৬ বন্ধু মিলে ছুটিকে উপভোগ করতে এসেছেন। কক্সবাজার এসে তারা বিশম আনন্দিত। অন্যান্যবারের তুলনায় এবার পর্যটকের সংখ্যাও বেশি। তবে এর জন্য তাদের উপভোগ কম হচ্ছে না।
স্বামী-সন্তান নিয়ে আসা শারমিন সাদিয়া জানান, কক্সবাজার এসে সমুদ্রের সুরে তিনি ভুলে গেছে করোনা আতংক। এখানে মানুষ আর মানুষ। উচ্ছ্বাসের কাছে যেন পরাজিত করোনা।
পর্যটন সংশ্লিষ্টদের তথ্য মতে ২১ ফেব্রুয়ারি সহ টানা ৩ দিনের ছুটি এসব পর্যটকরা ভ্রমণে এসেছেন। যার পরিমাণ ৪ লাখের বেশি হবে। ক্রমাগত আরো পর্যটক বাড়তে পারেন। আগত পর্যটকের একটি বিশাল অংশ প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন ভ্রমণে গেছে। টেকনাফ থেকে চলাচলকারি ৭ টি জাহাজে অনন্ত ১০ হাজার পর্যটক ভ্রমনে যাওয়া তথ্য পাওয়া গেছে।
ট্যুারিস্ট পুলিশের পরিদর্শক শাকের আহমদ জানান, এসব পর্যটকদের নিরাপত্তা প্রদানে ট্যুারিস্ট পুলিশের ১২ টি ইউনিট কাজ করছে। মাস্ক পরিধান সহ শাররিক দূরত্ব মানতে প্রচারণার পাশা পাশি সার্বিক নিরাপত্তা জোরদারে অভিযোগ কেন্দ্র চালু, প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। শুক্রবার কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে কয়েকটা বাচ্চা হারিয়ে গেলে পুলিশের পক্ষে সন্ধান করে অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply