শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৮ পূর্বাহ্ন
সফিউল আলম : কক্সবাজারের মাতাবাড়িতে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড বাস্তবায়িত ১২০০ মেগা ওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল ফায়ার্ড পাওয়ার প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলছে। এ প্রকল্পের কাজ প্রায় ৪৩ শতাংশ অগ্রগতি শেষ হয়েছে। ১৬০৮ একর জমির উপর প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে হচ্ছে মাতারবাড়ী প্রকল্পে। এ প্রকল্পের কাজ শেষ হলে কক্সবাজার তথা বাংলাদেশ একটি নতুন যুগের সুচনা হবে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রীর যৌথ উদ্যোগ বিগ- বি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছে। এ প্রকল্পের আওতাায় ১২০০ মেগা ওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কয়লা ও তেল পরিবহণের জন্য ১৪.৩ কি মি দীর্ঘ, ২৫০ মি, প্রস্থ ও ১৮.৫ মি গভীর চ্যানেলসহ কোল ও অয়েল আনলোড়িং জেটি নির্মাণ। ইতোমধ্যে চ্যানেলসহ ভারী যন্ত্রপাতি আনলোডিংর জেটি নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।
নির্বাহী পরিচালক (প্রকল্প) ও প্রকল্প পরিচালক মাতারবাড়ী ১২০০ মেগা ওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল ফায়ার্ড পাওয়ার প্রজেক্ট আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রায় ১৬০৮ একর জমির উপর প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে হচ্ছে মাতারবাড়ী প্রকল্পের কাজ। ইতোমধ্যে এ প্রকল্পের কাজ ৪৩.৩ শতাংশ শেষ হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় ১২০০ মেগা ওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কয়লা ও তেল পরিবহণের জন্য ১৪.৩ কি মি দীর্ঘ, ২৫০ মি, প্রস্থ ও ১৮.৫ মি গভীর চ্যানেলসহ কোল ও অয়েল আনলোড়িং জেটি নির্মাণ। ইতোমধ্যে চ্যানেলসহ ভারী যন্ত্রপাতি আনলোডিংর জেটি নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ প্রায় ৪৩ শতাংশ শেষ হয়েছে এবং আগামী ২০২৪ সালের জানুয়ারীতে চালু হবে। অন্যদিকে গভীর সমুদ্র বন্দরের কাজও সমানতালে এগিয়ে যাচ্ছে। চট্রগ্রাম পোর্ট অথরটির গভীর সমুদ্র বন্দরের নির্মাণ কাজ ২০২৫ সালে শেষ হবে। ২০২৫ সালে এ গভীর সমুদ্র বন্দরটি পূর্ণাঙ্গভাবে বানিজ্যিক ভিত্তিতে চালু হবে। যা চট্টগ্রাম পোর্ট অথরটি কতৃক পরিচালিত হবে।
তিনি আরো বলেন, মাতারবাড়ী প্রকল্পে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে, জাইকার লোনের আওতায় রাস্তা, ৪০০ কেভি গ্রেড লাইন, পল্লি বিদ্যুৎ এ এলাকায় বিদ্যুতায়নের কাজ ও পোর্ট অথরেটির কাজ হচ্ছে।
৬০০ মেঘা ওয়াট ২টি পাওয়ার সাপ্লাই এবং লোকজন থাকার জন্য টাউনশীপ হবে। প্রকল্পের চারদিকে ১০ ফিট উচ্চতার বাউন্ডারী ওয়াল করা হবে। ঘুর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাস থেকে রক্ষার জন্য প্রকল্প স্থানকে মূল ভুমি থেকে ১০ মিটার উচ্চতায় রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, গত ২৯ ডিসেম্বর বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য মালবাহী প্রথম মাদার ভেসেল পরীক্ষামূলকভারে নির্মিত চ্যানেল হয়ে আনলোডিং জেটিতে ভিড়েছে যা বাংলাদেশের গভীর সমুদ্র বন্দরের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ন মাইলফলক।
মাতারবাড়ী বিদ্যূৎ প্রকল্প ও পোর্ট ফ্যাসিলিটিস মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর বাস্তবায়নে অনেক অবদান রাখতে যা দেশের দক্ষিণাংশসহ সারা দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও দেশের প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply