শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৮ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা ছাড়তে এবং গত সপ্তাহের অভ্যুত্থানে আটক কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রনীতি সংক্রান্ত প্রথম বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বাইডেন জানান, মিয়ানমারে সেনাবাহিনী জেনারেলদের ক্ষমতা দখল, নোবেলজয়ী অং সান সু চিসহ নির্বাচিত রাজনীতিক ও বেসামরিকদের গ্রেপ্তার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্র ও অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করছে।
“এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই, গণতন্ত্রে কোনো শক্তির কখনোই জনগণের ইচ্ছাকে বদলে দেওয়ার আকাঙ্ক্ষা কিংবা বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের ফল মুছে দেওয়ার চেষ্টা করা উচিত নয়।
“বার্মার (মিয়ানমার) সেনাবাহিনীর উচিত যে ক্ষমতা তারা দখল করে রেখেছে তা ছেড়ে দেওয়া এবং রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও আটক অন্যদের মুক্তি দেওয়া, টেলিযোগাযোগে বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া এবং সহিংসতা থেকে বিরত থাকা,” বলেছেন তিনি।
নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে গত সপ্তাহের সোমবার মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মিন অং হ্লাইং ক্ষমতা হাতে নেন। ওই নির্বাচনে সু চির দল নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছিল।
বুধবার বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে আসিয়ান দেশগুলোর কূটনীতিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে বৃহস্পতিবার বাইডেনের বক্তব্যের পর দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে বাইডেন।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ানে মিয়ানমারও সদস্য।
“সুলিভান বার্মায় অভ্যুত্থান নিয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের গভীর উদ্বেগের কথা জানানোর পাশাপাশি এ সঙ্কট নিয়ে আসিয়ান দেশগুলো মনোযোগ দেওয়ায় তাদের প্রশংসাও করেছেন। বার্মায় গণতন্ত্র ফেরাতে আঞ্চলিক সহযোগিতার গুরুত্বের বিষয়টিও তুলে ধরেছেন তিনি,” বলা হয়েছে হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে।
জলবায়ু পরিবর্তন, কোভিড-১৯ মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধার, সমুদ্র নিরাপত্তাসহ নানান বিষয়ে আসিয়ান দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যোগাযোগ আরও বিস্তৃত করতে বাইডেন প্রশাসনের প্রতিশ্রুতির উপরও সুলিভান জোর দিয়েছেন বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের এক ব্রিফিংয়ে সুলিভান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন এখন মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের প্রতিক্রিয়ায় নির্বাহী আদেশ জারির কথা এবং সুনির্দিষ্ট ব্যক্তি ও সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার বিবেচনা করছে।
গত সপ্তাহে অভ্যুত্থানের পর বাইডেনও মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন।
“কঠিন এ মুহুর্তে কারা বার্মার জনগণের পাশে আছে যুক্তরাষ্ট্র তা লক্ষ্য করছে,” বলেছিলেন তিনি।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply