শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২০ পূর্বাহ্ন
বাংলা ট্রিবিউন : গত তিন বছরে কোনও রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠাতে না পারলেও এ বছর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। রবিবার (৩ জানুয়ারি) বছরের প্রথম কার্যদিবসে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা এ বছর প্রত্যাবাসন শুরু করতে চাই।’
বছরের প্রথম দিন অর্থাৎ ১ জানুয়ারি মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর দফতরের মন্ত্রী টিন্ট সোয়েকে চিঠি লিখে এ বছর প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করার অনুরোধ করেছেন বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
চিঠিতে কী লেখা হয়েছে, সে বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি তাদেরকে মনে করিয়ে দিয়েছি তাদের প্রতিশ্রুতির কথা। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, নিরাপত্তা দিয়ে রোহিঙ্গাদের তারা ফেরত নেবে। রাখাইনে সহায়ক পরিবেশ তৈরি করবে কিন্তু কোনও অগ্রগতি হয়নি।’
এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমি বলেছি যে, এর জন্য দরকার রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং নববর্ষে আমরা আশা করি যে, আপনারা আপনাদের কথা রাখবেন।’
১৯৭৮ ও ১৯৯২ সালে প্রতিশ্রুতি দিয়ে রোহিঙ্গাদের ফেরত নিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গের অবতারণা করে তিনি বলেন, ‘আমি বলেছি, অতীতে কথা রেখেছেন এবং এখন নিজেদের লোকগুলো নিয়ে যান। যদি এদের ফিরিয়ে না নেওয়া হয়, তবে এই অঞ্চলে অশান্তির আশঙ্কা আছে।’
সমস্যার সমাধান একমাত্র মিয়ানমারই করতে পারে এবং তাদের ব্যবহারের পরিবর্তন হচ্ছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের ব্যবহারে পরিবর্তন হচ্ছে। আমরা আশাবাদী। দ্বিপাক্ষিক, ত্রিপাক্ষিক ও বহুপক্ষীয় আলোচনা অব্যাহত রেখেছি। এমনকি আইনি কাঠামোর মধ্যেও কাজ করছি। যত ব্যবস্থা আছে সবগুলো নিয়ে কাজ করছি।’
মিয়ারমারকে যাচাই-বাছাই করার জন্য ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গার তালিকা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এর মধ্যে তারা ২৮ হাজার যাচাই-বাছাই করেছে। তারা অত্যন্ত ধীরগতিতে ব্যবস্থা নিচ্ছে।’
ত্রিপক্ষীয় বৈঠক বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ’এটি মিয়ানমারই পেচ্ছাছিল। বাংলাদেশ, চীন ও মিয়ানমার ত্রিপক্ষীয় ব্যবস্থার উদ্যোক্তা হচ্ছে চীন। তারা এটি নিয়ে কাজ করছে। আমরা সবসময় তৈরি। তারা যখন তারিখ দেবে আমরা বসবো।’
নতুন উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জাপান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জাপানের অনেক বড় বিনিয়োগ আছে মিয়ানমারে। তাদের অনুরোধ করেছিলাম এবং তারা বলেছিল যে, নিশ্চয় তারা আমাদের সাহায্য করবে। কারণ, মিয়ানমারের ওপরে জাপানের প্রভাব আছে। এটি চীনের উদ্যোগের বাইরে। তবে জাপানের উদ্যোগের কাঠামো এখনও তৈরি হয়নি। আমরা বলেছি এবং তারা পছন্দ করেছে।’
ভারত আমাদেরকে বলেছে, তারা মিয়ানমারের সঙ্গে আলাপ করবে এবং তারা আমাদের সহায়তা করবে। তারাও চায়, রোহিঙ্গারা ফেরত যাক। ভারত, জাপান, চীন— সবাই আমাদের সঙ্গে একমত যে, মিয়ানমারেই সমস্যার সমাধান নিহিত আছে বলে তিনি জানান।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply