শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৬ অপরাহ্ন
বিডিনিউজ : করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে চার মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকা দেশের সব সিনেমা হল ঈদুল আজহায়ও না খোলার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়।
রোববার দুপুরে মন্ত্রণালয়ে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে হল মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
বর্তমান পরিস্থিতিতে সিনেমা হল খোলা নিয়ে বৈঠক শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “বন্যা পরিস্থিতি এবং করোনার কারণে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার বাধ্যবাধকতার ফলে এ বিষয়ে আরেকটু ধীরে সুস্থে এগুনো ভালো হবে বলে মনে হয়।
“করোনার প্রকোপ যখন একেবারে কমে যাবে, তখন আমরা সিনেমা হল চালু করার বিষয়টি আবার আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারি।”
চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাসের প্রস্তাবনার প্রেক্ষিতে তথ্যমন্ত্রী জানান, সিনেমা হলগুলোর বিদ্যুৎ বিল বাণিজ্যিক হারের পরিবর্তে শিল্প হারে নির্ধারণের জন্য বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
“আর বিদেশি চলচ্চিত্র আমদানির বিষয়ে সবার সাথে আলোচনা করে ঐক্যমতের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সিনেমা হল আধুনিকায়ন ও নতুন করে চালু করার জন্য স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণের বিষয়ে অর্থ বিভাগ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথেও আলোচনা চলছে।”
চলচ্চিত্র শিল্পের স্বর্ণালী যুগ ফিরিয়ে আনতে কাজ হচ্ছে জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে এই শিল্পকে কিভাবে বাঁচানো যায়, কিভাবে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায়, কিভাবে আমাদের দেশের বাংলা ছবি আন্তর্জাতিক বাজারেও স্থান করে নিতে পারে, সেসব চিন্তা করেন, আমাকেও নির্দেশনা দিয়েছেন।”
সিনেমা হল বন্ধ রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাবেক জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মিয়া আলাউদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনায় কোরবানির ঈদেও দেশের সব সিনেমা হল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা আমাদের জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী।
“করোনাভাইরাসের মধ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বন্যার কারণে আপাতত হল খুলছে না; পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সেপ্টেম্বরের পরে সিনেমা হলগুলো খোলার সম্ভাবনা আছে।”
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে গত ১৮ মার্চ থেকে দেশের সব সিনেমা হল বন্ধ রয়েছে।
হল মালিক ও প্রযোজকরা একাধিকবার হল খুলে দেওয়ার আবেদন জানালেও স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় সরকারের তরফ থেকে কোনো সায় মেলেনি।
হল বন্ধ থাকায় বেতনাদি না পাওয়ায় আর্থিক সংকটে থাকা হলকর্মীদের অনুদানের আশ্বাস দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
মিয়া আলাউদ্দিন জানান, তারা শিগগিরই প্রত্যেক হল থেকে পাঁচজন করে কর্মীর তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন।
তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মিয়া আলাউদ্দিন ছাড়াও হল মালিকদের প্রতিনিধি হিসেবে হল সুদীপ্ত কুমার দাস, আওলাদ হোসেন উজ্জল উপস্থিত ছিলেন।
প্রায় আড়াই মাস ধরে চলচ্চিত্রের শুটিং বন্ধ থাকার পর গত ৫ জুন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুটিংয়ে ফিরেছে ঢালিউড। পুরোদমে চলছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনও দাপ্তরিক কার্যক্রম; সঙ্গে এফডিসির সবগুলো শুটিং ফ্লোরও খুলে দেওয়া হয়েছে।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply