শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১৫ পূর্বাহ্ন
টেকনাফ প্রতিনিধি : টেকনাফে বিজিবির সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুই রোহিঙ্গা মাদক পাচারকারি নিহত ও বিজিবির তিন সদস্য আহত হয়েছে; এসময় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমান ইয়াবা ও অস্ত্র।
শনিবার ভোরে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের নাফ নদীর তীরবর্তী মোচনী লবণ মাঠ এলাকায় ছুরিখালের মোহনায় গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটে বলে জানান বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ফয়সল হাসান খান।
নিহতরা হল, উখিয়া উপজেলার বালুখালী ১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এইচ-৩৯ ব্লকের বাসিন্দা হাবিব উল্লাহ’র ছেলে মোহাম্মদ ফেরদৌস (৩০) এবং একই ক্যাম্পের এইচ-২০ ব্লকের বাসিন্দা মৃত ছৈয়দ আহমাদের ছেলে আব্দুস সালাম (৩৫)।
বিজিবি জানিয়েছে, নিহত ২ জনই চিহ্নিত মাদক পাচারকারি। তারা দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত দিয়ে ইয়াবাপাচারে জড়িত।
লে. কর্নেল ফয়সল বলেন, ভোরে টেকনাফের নাফ নদীর তীরবর্তী মোচনী লবন মাঠ এলাকার ছুরিখালের মোহনা দিয়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার বড় একটি চালান পাচার হয়ে আসার খবরে বিজিবির একটি দল উৎপেতে অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে নদী সাঁতরিয়ে ২/৩ জন লোককে তীরে ভিড়তে দেখে বিজিবির সদস্যরা। এসময় বিজিবির সদস্যরা লোকগুলোকে থামার জন্য নির্দেশ দেয়। লোকগুলো পালানোর জন্য অন্ধকারে কেওড়াবনের ভিতর দিয়ে দৌঁড় দেয়। তাদের ধাওয়া দিলে বিজিবির সদস্যদের লক্ষ্য করে অতর্কিত গুলি ছুড়তে থাকে। এতে বিজিবির ৩ সদস্য আহত হয়েছে। আত্মরক্ষার্থে বিজিবির সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছুড়ে।
” এক পর্যায়ে ইয়াবা পাচারকারিরা পালিয়ে যাওয়ার পর গোলাগুলি থেমে গেলে ঘটনাস্থলে ২ জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশী করে পাওয়া যায় ২ লাখ ১০ হাজার ইয়াবা, ১ টি দেশিয় তৈরী বন্দুক, ১ টি গুলি ও ১ টি কিরিচ দা। “
বিজিবির অধিনায়ক বলেন, ” গুলিবিদ্ধদের উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে সেখানে আনা হলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ২ জনকে মৃত ঘোষণা করেন। “
গুলিবিদ্ধদের হাসপাতালে নেয়ার পথে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে তাদের নাম ও পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে জানান লে. কর্নেল ফয়সল।
বিজিবির অধিনায়ক জানান, নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply