সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১০ অপরাহ্ন
প্রথম আলো : করোনাভাইরাসের প্রভাব নিরপেক্ষ করে তুলতে যে মূল অ্যান্টিবডিগুলো ভূমিকা রাখে, তা সংক্রমণের কয়েক মাসের মধ্যেই নিম্ন স্তরে নেমে আসে। করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি নিয়ে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ব্যাপক একটি গবেষণায় এ ফল পাওয়া গেছে। গত শনিবার ‘নেচার’ সাময়িকীতে প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
গবেষকেরা বলেন, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়া অ্যান্টিবডিগুলো সংক্রমণের কয়েক সপ্তাহ পর থেকেই বিলীন হতে শুরু করে। নিউট্রিলাইজিং বা নিষ্ক্রিয়করণ অ্যান্টিবডি মূলত শরীরকে ভাইরাস সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দিতে পারে। তবে এ ধরনের অ্যান্টিবডির অস্তিত্ব মাত্র কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত থাকতে দেখা গেছে।
যুক্তরাজ্যের কিংস কলেজ লন্ডনের গবেষক কেটি ডুরেস ও তাঁর সহকর্মীরা সার্স-কোভ-২ আক্রান্ত ৬৫ জন রোগীর শরীরে নিউট্রিলাইজিং অ্যান্টিবডির ঘনত্ব ৯৪ দিন পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করেন। অবশ্য, এ গবেষণা–সংক্রান্ত নিবন্ধ কোনো পিয়ার রিভিউড জার্নালে এখনো প্রকাশ পায়নি।
গবেষকেরা বলেছেন, যেসব রোগীর ক্ষেত্রে কোভিড-১৯ উপসর্গ বেশি দেখা যায়, তাদের শরীরে অ্যান্টিবডি উৎপাদন বেশি হয়। মৃদু উপসর্গের তুলনায় তীব্র উপসর্গের রোগীদের অ্যান্টিবডি বেশি থাকে। তবে অধিকাংশ রোগীর ক্ষেত্রেই প্রায় মাসখানেকের মধ্যেই অ্যান্টিবডির পরিমাণ কমতে শুরু করে। একটা পর্যায়ে এটি আর শনাক্তযোগ্য থাকে না।
অ্যান্টিবডি নিয়ে গবেষণার এ ফল ভ্যাকসিন উৎপাদনকারীদের প্রস্তুত করা ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে। ভ্যাকসিন মানুষের শরীরে নিউট্রিলাইজিং অ্যান্টিবডি উৎপন্ন করবে বলে দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু এ অ্যান্টিবডি যদি স্বল্পস্থায়ী হয় তবে ভ্যাকসিনে মানুষ কত দিন সুরক্ষা পাবে, সে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply