বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৫ পূর্বাহ্ন
সিফাত মাহমুদ আকিব : করোনা পরিস্থিতিতে পর্যটন স্পট গুলো এখনো বন্ধ থাকলেও কিছু স্পটে দেখা মিলছে মানুষের। ওখানে কোন পর্যটক না থাকলেও স্থানীয় ও কর্মজীবী মানুষ এসব স্পটে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, করোনা পরিস্থিতির কারণে গত ৪ মাস আগে কক্সবাজার শহরে পর্যটন স্পটগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। ১১ জুলাই সারা বাংলাদেশে লকডাউন খুলে দেওয়ার পরও কিন্তু খুলে দেওয়া হয়নি পর্যটন স্পট গুলো। তবে পর্যটনের কিছু কিছু স্পটে দেখা মিলছে বিভিন্ন এনজিওর কর্মজীবী সহ স্থানীয় জনসাধারণের।
কক্সবাজার দীর্ঘ সমুদ্র সৈকতের একটি অংশ ইনানী সমুদ্র সৈকত ও পাটোয়ারটেক রানী বিচ। শুক্রবার ও শনিবার ইনানী সমুদ্র সৈকত, পাটোয়ারটেক সমুদ্র সৈকতে অনেক মানুষের আনাগোনা দেখা গেছে। সমুদ্র সৈকতের মেরিন ড্রাইভ সড়কের পাশে কয়েকটি দোকানপাট খোলা ছিল। ইনানী সমুদ্র সৈকতে কয়েকটি দোকান ছিল। পাটোয়ারটেক সমুদ্র সৈকতে বেশিভাগ দোকান খোলা রয়েছে।
ইনানী সমুদ্র সৈকতের হোটেল গুলো খোলা রয়েছে। মিশন লা বেলা রির্সোট এর জিএম (জেনারেল ম্যানাজার) বদিউল আলম সোহাগ জানিয়েছেন, তাদের রিসোর্ট এখন খোলা রয়েছে হাটেলের প্রায় কর্মচারী করোনা পরিস্থিতির কারণে নিজ নিজ বাসস্থানে চলে যাওয়াতে কর্মচারী কম রয়েছে। তারা করোনা সচেতনতা অবলম্বন করে তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
ইনানী পেবল স্টুন সী রিসোর্টের জিএম মাহফুজুর রহমানের জানিয়েছেন, করোনার কারণে তাদের সব কিছু এলোমেলো হয়ে গিয়েছে। এখন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা থেকে শুরু করে সুন্দর ভাবে গুছানোর কাছ চলছে। তবে তারা সব কিছু গুছিয়ে ঈদের পর থেকে আগের মতো কাজ শুরু করতে চাই।
কয়েকজন বিক্রেতা তাদের মতামত প্রকাশ করতে গিয়ে জানিয়েছেন, প্রশাসনের প্রতি তাদের আকুল আবেদন সমুদ্র সৈকতের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হোক। কারণ তাদের সামান্য কিছু আয়ের ফলে তাদের পরিবারের লোকজনের খাবার জুটে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন জানিয়েছেন, ঈদ পর্যন্ত পর্যটন স্পট বন্ধ থাকলে। এরপর সীমিত পরিসরে কি প্রক্রিয়া পর্যটন স্পট খোলে দেয়া যায় এব্যাপারে স্বাস্থ্য বিভাগের মতামত গ্রহণ করে মন্ত্রণালয়ে জানানো হবে। এরপর সিদ্ধান্ত হবে।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply