বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৩ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
নাফনদীতে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার; টেকনাফ সেন্টমার্টনে যাত্রীবাহি নৌ যান চলবে কোস্টগার্ডের নিরাপত্তায় নিষেধাজ্ঞা থাকলে বিশেষ ব্যবস্থা সেন্টমার্টিন গেলো পণ্যবাহী সাতটি ট্রলার কক্সবাজার বিএনপির ৩ টি কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন আহবায়ক কমিটি কক্সবাজার সৈকতে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি প্রদর্শিত টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথসহ এবার নাফনদীতে সকল নৌযান চলাচল অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা মংডু নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নাফনদীর মিয়ানমার অংশে নিষেধাজ্ঞা আরাকান আর্মির ; বাংলাদেশ অংশে বিজিবির টহল জোরদা রামু থেকে বন্দুক ও গুলি উদ্ধার হাইকোর্টের আদেশে সমুদ্র সৈকতের বালিয়াড়ির অবৈধ স্থাপনা একদিনের মধ্যে স্বেচ্ছায় সরিয়ে নেয়ার নিদের্শ চকরিয়ায় হামলায় আহতের ১৬ দিন পর কলেজ ছাত্রের মৃত্যু থামছে না ওপারের মুহুর্মুহু বিস্ফোরণের বিকট শব্দ : কাটছে না সীমান্তবাসির আতংকও

‘করোনামুক্ত’ সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারা যেমন আছেন

লোকমান হাকিম : দেশের পর্যটনের জন্য অন্যতম সেন্টমার্টিন। বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপটির আয়তন ১৭ বর্গ কিলোমিটার। করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকে দ্বীপটি বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়। বন্ধ করে দেয়া হয় পর্যটকসহ নৌ রুটের চলাচল। এতে এ পর্যন্ত কোন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়নি। যদিও এর মধ্যে অনেকেই নমুনা পরীক্ষা দিয়েছেন এবং ফলাফলও নেগেটিভ আসে। এতে খুশি দ্বীপের মানুষ।

দ্বীপের মানুষের সপ্তাহে ২ দিন সীমিত পরিসরে টেকনাফ আসতে পারেন এবং প্রয়োজনীয় দ্রব্য নিয়ে যান। এতে স্থানীয়দের উপার্জনের মাধ্যম পর্যটন ও মৎস্য আহরণ বন্ধ থাকায় কিছু ভোগান্তির কথা জানিয়েছেন দ্বীপের বাসিন্দারা।

অন্যদিকে সেন্টমার্টিনের স্থানীয়দের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য সহায়তা দিয়ে রেখেছেন বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন।

জেলা প্রশাসক জানান, দ্বীপের মানুষের কিছুটা ভোগান্তি থাকলেও পর্যাপ্ত সহায়তা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে দ্বীপটি শেষ পর্যন্ত করোনামুক্ত রাখতে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছে, করোনার এই সংকটে সেন্টমার্টিনের স্থানীয়রা খুব কষ্টে আছে। সেন্টমার্টিনের মানুষ মুলত: দুইটা পেশায় জড়িত একটা পর্যটন, আরেকটা মৎস্যখাত। বর্তমানে এই দুই পেশার মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা নাজুক।

স্থানীয় মৌলানা জয়নাল আবেদিন জানান, সেন্টমার্টিনে এখনো করোনামুক্ত রয়েছে। তবে এখানকার অধিকাংশ জেলে ও স্থানীয়রা অসহায় পড়েছে। এই মুহুর্তে যদি সরকার আমাদের দিকে নজর না দেয় তাহলে আমরা খুব সমস্যায় পড়বো। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ত্রাণ পাচ্ছে, কিন্তু আমাদের এখানে তেমন সহযোগিতা পাচ্ছি না।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ি মোহাম্মদ রফিক সায়েম জানান, করোনা পরিস্থিতিতে সেন্টমার্টিনের ব্যবসায়ীরা আগের মত ব্যবসা করতে পারছে না। ঠিক মতো মালামাল আনতে পারছে না। সপ্তাহে দু’একদিন ট্রলার যাতায়াত করে এ কারণে অনেকের মালামালের সংকট দেখা দেয়। তাছাড়া সেন্টমার্টিনের ব্যবসায়ী এবং স্থানীয়রা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে। এ জন্য তিনি ত্রাণের পরিমাণ বৃদ্ধি করার দাবি জানান।

সেন্টমার্টিনের ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, দ্বীপের প্রায় ৮০ ভাগ মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে। আগামী পর্যটন মৌসুম চালু না হওয়া পর্যন্ত সেন্টমার্টিনের মানুষ সমস্যা পড়বে। তাদের আয়ের উৎস সম্পূর্ণ বন্ধ। সরকারের নিকট অনুরোধ থাকবে সেন্টমার্টিনের মানুষ যেন খাদ্য সহায়তা পায়।

জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, এটা খুব স্বাভাবিক সূত্র সেন্টমার্টিন কেন করোনামুক্ত আছে। সেন্টমার্টিন একটা আইসোলেটেড এরিয়া, যেখানে কোন মানুষের ইচ্ছে করলে যাওয়া সম্ভব না। এবং ওখানে পর্যটক ও স্থানীয়দের যাওয়া আসাটা বন্ধ, যে কারণে এখানে সংক্রমণ হওয়ার সুযোগ নেই। এ কারণে এই দ্বীপটি এখনো করোনামুক্ত আছে। ওখানে যেন কেউ না যেতে পারে সে জন্য প্রশাসনের তৎপরতা রয়েছে।

জেলা প্রশাসক আরও জানান, বিচ্ছিন্ন দ্বীপটি আসা যাওয়া বন্ধ রাখার সুফল এটি। একই সঙ্গে পর্যাপ্ত সহায়তা প্রদানের কথাও বলেছেন তিনি।

দেশের মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। এই দ্বীপে প্রায় ৭ হাজার মানুষের বসবাস। যেখানে রয়েছে নৌ-বাহিনী, কোস্টগার্ড, বিজিবি ও পুলিশের কড়াকড়ি। করোনা ভাইরাস থেকে এখনও নিরাপদ রয়েছে এই দ্বীপের বাসিন্দারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888