বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০৭ অপরাহ্ন
বাংলা ট্রিবিউন : যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে অংশীদারত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রীষ্মের শেষেই ভ্যাকসিন উৎপাদন শুরুর পথে রয়েছে বলে জানা গেছে। সিএনবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চার থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে উৎপাদনকাজ শুরু করবে তারা। মার্কিন প্রশাসনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সোমবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
সিএনবিসি নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাম্প প্রশাসন চারটি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কর্মসূচিকে অপারেশন র্যাপ স্পিড প্রোগ্রামের আওতায় আর্থিক সহায়তা করেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে উৎপাদন কারখানার সুবিধা বাড়ানো ও কাঁচামাল সংগ্রহে কোম্পানিগুলোকে সাহায্য করা হচ্ছে। তাদের লক্ষ্য, আগামী বছর নাগাদ ৩০ কোটি ভ্যাকসিন ডোজ তৈরি করা।
সোমবার অনলাইন কনফারেন্স কলে ট্রাম্প প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, ‘কবে নাগাদ ভ্যাকসিনের বিভিন্ন উপাদান উৎপাদন ও প্রস্তুতের কাজ শুরু হবে, সে সম্পর্কে বলতে গেলে বলা যায়, চার থেকে ছয় সপ্তাহ লাগতে পারে। এর মধ্যে ভ্যাকসিন উৎপাদন শুরু হবে। তবে পূর্ণাঙ্গ উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু হবে গ্রীষ্মের শেষে।’
কয়েক মিলিয়ন থেকে ১০০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থ সাহায্য পাওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে জনসন অ্যান্ড জনসন, মডার্না, অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও নোভাভ্যাক্স।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে রিজেনেরন ফার্মাসিউটিক্যাল নামের একটি কোম্পানির সঙ্গে কোভিড-১৯ থেরাপি উদ্ভাবনের জন্য ৪৫ কোটি ডলারের চুক্তি হয়েছে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এর পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ফল পাওয়া যাবে।
ট্রাম্প প্রশাসনের ওই কর্মকর্তা বলেছেন, দ্রুতগতিতে ভ্যাকসিন তৈরির কাজ এগিয়ে চলছে, যা ইতিহাসে আগে কখনও হয়নি। থেরাপি আরও দ্রুত উদ্ভাবন হচ্ছে। ভবিষ্যতে আরও প্রতিষ্ঠানে ভ্যাকসিন তৈরির জন্য তহবিল জোগাবে মার্কিন প্রশাসন।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৩৩ লাখ ৬৩ হাজারের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে ১ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply