শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০৫ পূর্বাহ্ন
প্রথম আলো: ২০১৬ সালে তরুণ মোস্তাফিজুর রহমানকে দলে নিয়ে বড় বিপদে পড়েছিল আইপিএল দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ইংরেজি ভাষায় দুর্বলতার কারণে মোস্তাফিজের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা ছিল বেশ কঠিন। দলের আবার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন তিনি। প্রায় প্রতি ম্যাচেই ভালো বোলিং করছিলেন। কিন্তু ম্যাচের আগে টুকটাক পরিকল্পনা নিয়ে মোস্তাফিজুর সঙ্গে কথা বলতে গেলে দলটির তখনকার প্রধান কোচ টম মুডিকে সমস্যায় পড়তে হতো। তখন শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি লাসিথ মালিঙ্গার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কাজে এসেছে মুডির।
১৫ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে ফেলা মালিঙ্গা এখন ভালোই ইংরেজি বলতে পারেন। কিন্তু ক্যারিয়ারের শুরুতে মুখ দিয়ে দুই শব্দও নাকি বের হতো না। তখন মালিঙ্গার সঙ্গে কথা বলার সময় দলের আরেক ক্রিকেটারকে দোভাষী হিসেবে ব্যবহার করতেন মুডি। হায়দরাবাদে মোস্তাফিজের ক্ষেত্রেও একই কৌশল অবলম্বন করেছিলেন এই অস্ট্রেলীয় কোচ।
কাল ক্রিকবাজের এক সাক্ষাতকারে মুডি বলেছিলেন, ‘আমি তরুণ মালিঙ্গার কথা বলছি, সেই ২০০৫ এর কথা। যখন আমি শ্রীলঙ্কার কোচ ছিলাম। আমি সবার সঙ্গে আলাদা করে কথা বলতাম। ৪ মাস পর একদিন মাহেলা (জয়াবর্ধনে) এসে আমাকে বলে, মালিঙ্গা আপনার একটা কথাও বুঝতে পারে না। এটা আমার কোচিং ক্যারিয়ারের জন্য বড় একটা শিক্ষা ছিল। এরপর কোন খেলোয়াড়ের ইংরেজিতে সমস্যা থাকলে আমি স্থানীয় খেলোয়াড়দের দিয়ে তাদের বোঝানোর চেষ্টা করি, তাঁরা যেন নিজেদের অগুরুত্বপূর্ণ না করে।’
হায়দরাবাদ দলে কলকাতার ক্রিকেটার রিকি ভুঁইকে দিয়ে মোস্তাফিজের দোভাষীর কাজ চালান মুডি, ‘হ্যাঁ, রিকি ভুঁই ছিল দলের সঙ্গে। সে ফিজের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারতো। সে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে মোস্তাফিজকে বার্তা পৌঁছে দিতে। মোস্তাফিজের মতো কারো সঙ্গে কথা বলতে হলে আপনাকে অল্পতে সব কিছু বুঝিয়ে দিতে হবে। এক্ষেত্রে রিকি না থাকলে যোগাযোগ রক্ষা করা অসম্ভব হতো।’
২০১৬ সালে আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন হয় হায়দরাবাদ। শিরোপা জয়ে মোস্তাফিজের বড় ভূমিকা ছিল। সেই বছর টুর্নামেন্টের সেরা উদীয়মান ক্রিকেটারের পুরস্কার পেয়েছিলেন এই বাঁহাতি পেসার।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply