শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১২ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
টেকনাফ ছাড়াও এবার নতুন করে উখিয়া-নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ভেসে আসছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ চকরিয়ায় জেলা পরিষদের জমিতে নির্মিত আওয়ামী লীগের অফিস উচ্ছেদ সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিটি গঠণ সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে কক্সবাজার শহরে এসে সেন্টমার্টিন দ্বীপবাসির সড়ক অবরোধ পাহাড়ী আস্তানা থেকে মালয়েশিয়া পাচারকালে শিশুসহ ৩১ জন উদ্ধার, দুই দালাল আটক সাবের মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর পিএস ফিরোজ কক্সবাজারে গ্রেপ্তার মিয়ানমারের বাঘগুনা খালের পাশে রয়েছে নিমার্ণ সামগ্রী ও দুইটি ট্রলার, মাঝি-মাল্লা সহ ১১ জনের হদিস নেই মিয়ানমারের উপজাতি সম্প্রদায়ের ৬৫ নাগরিকের অনুপ্রবেশ চকরিয়ায় কিশোরকে ছুরিকাঘাত : আটক ৪ চকরিয়ায় ফেরিওয়ালার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

সন্তানকে শেখাতে হবে ইন্টারনেটের নিরাপদ ব্যবহার

বিডিনিউজ: ইন্টারনেট শিশু-কিশোরদের অবাধ বিচরণ কখনই নিরাপদ নয়।

আবার দুই বছর বয়সের শিশুও যেখানে ইউটিউবের ভিডিও না দেখলে কেঁদে পাড়া মাথায় তোলে সেখানে শিশু-কিশোরদের ইন্টারনেট থেকে দূরে রাখাও প্রায় অসম্ভব।

তাই প্রযুক্তিনির্ভর এই যুগে বিভিন্ন দুর্ঘটনা বা বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকে সন্তান ও নিজেকে বাঁচাতে প্রতিটি অভিভাবককেই কিছু বিষয় জানতে হবে এবং জানাতে হবে সন্তানদের।

অনলাইন নিরাপত্তা-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনের আলোকে জানানো হল সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে।

নির্ধারিত সময়: সন্তানের ইন্টারনেট ব্যবহারের সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়ার মাধ্যমে তার দৈনিক ‘স্ক্রিন টাইম’ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন, পাশাপাশি সে কী ধরনের ‘কনটেন্ট’য়ের সংস্পর্শে আসছে সেদিকেও নজর রাখতে পারবেন।

অসংখ্য ‘অ্যাপ’, ‘ব্রাউজার’য়ে এখন বিভিন্ন নামে অপ্রাপ্তবয়স্কদের বিশেষ ‘মোড’ থাকে। এই ‘মোড’ আপনার সন্তানকে অযাচিত ‘কনটেন্ট’য়ের সংস্পর্শে আসা থেকে বিরত রাখবে। এমনকি তারা ইন্টারনেটে কোন ধরনের ‘কনটেন্ট’ দেখছে সেটাও আপনি পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ পাবেন।

সন্তানের কাছে স্মার্টফোন থাকলে কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার ‘অ্যাকাউন্ট’ থাকলে ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় নির্ধারণ ও শিশুবান্ধব ‘মোড’ ব্যবহার সবার জন্যই উপকারী হবে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের গোপনীয়তা পরীক্ষা: আপনার ‘টিনএইজ’ সন্তানকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করা থেকে বিরত রাখা এখন আর সম্ভব নয়। যা সম্ভব তা হল, এই মাধ্যমগুলোতে তারা নিজের সম্পর্কে কী তথ্য প্রকাশ করছে এবং তা কতটুকু নিরাপদ সেটা নিজের হাতে যাচাই করা।

তবে তা সন্তানকে না জানিয়ে করা ভিন্ন বিপত্তি ডেকে আনতে পারে। তাই সন্তানকে সঙ্গে নিয়েই তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ‘প্রাইভেসি সেটিংস’ যাচাই করতে হবে। পাশাপাশি এই গোপনীয়তা কীভাবে রক্ষা করতে হয় এবং তা কেনো জরুরি সেটাও সন্তানকে শেখাতে হবে।

স্পর্শকাতর তথ্যে নিষেধাজ্ঞা: প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ছে ‘হ্যাকিং’য়ের ঝুঁকি। তাই ব্যক্তিগত ও স্পর্শকাতর কোনো কিছুই অনলাইনে প্রকাশ করা নিরাপদ নয়। একজন প্রাপ্তবয়স্ক সেটা জানলেও শিশু-কিশোরদের তা বুঝতে না পারাই স্বাভাবিক। আর একারণেই অনেক কুচক্রি মহল স্পর্শকাতর তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার জন্য শিশু-কিশোরদের ব্যবহার করার পায়তারা করে। তাই সন্তানকে এসব ব্যাপারে সাবধান করতে হবে। বাড়ির ঠিকানা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম, বিশেষ কোনো ব্যক্তিগত তথ্য অনলাইনে প্রকাশ করার ঝুঁকি তাদের বোঝাতে হবে।

পাসওয়ার্ড: বর্তমান যুগে প্রায় প্রতিটি মানুষের সামাজিক ও পারিবারিক মান-সম্মান, অর্থ-সম্পদ, ব্যক্তিগত জীবন ইত্যাদির একমাত্র নিরাপত্তা হল এক বা একাধিক পাসওয়ার্ড।

এক পাসওয়ার্ড বিভ্রাট একজন মানুষের জীবনকে দুর্বিসহ করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। তবে আপনার সন্তান এই পাসওয়ার্ডের গোপনীয়তার গুরুত্ব পুরোপুরি অনুধাবন করতে নাও পারে। বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে ব্যাংকের ‘ডেবিট’ কিংবা ‘ক্রেটিড’ কার্ডের পাসওয়ার্ডের ক্ষেত্রে।

অনলাইন গেইমস খেলতে গিয়ে ‘ইন-অ্যাপ-পারচেজ’য়ের মাধ্যমে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে মোটা অংকের অর্থ খরচ করে ফেলার ঘটনা অহরহ ঘটছে। অনলাইনে কেনাকাটার ওয়েবসাইটগুলোর তাদের একা ব্যবহার করতে দেওয়া যাবে না। অভিভাবকরা এসব ক্ষেত্রে ‘টু ফ্যাক্টর অথেনটিফিকেইশন’ ব্যবহার করতে পারেন।

ওয়াইফাই’য়ের নিরাপত্তা: বাসার ওয়াইফাই’তে অবশ্যই শক্ত পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিত। সন্তানদের শেখাতে হবে নিরাপদ ‘নেটওয়ার্ক’য়ের আওতাভুক্ত ইন্টারনেট ব্যবহার করার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে। পাশাপাশি ‘অ্যাপ ডাউনলোড’ ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট দেখার আগে ইন্টারনেটের উৎসটি নির্ভরযোগ্য কি-না সেটা নিজে যেমন যাচাই করবেন, সন্তানদেরও তা করার শিক্ষা দিতে হবে।

দিনশেষে সবচাইতে জরুরি বিষয় হল পরিবারের ছোটদের ইন্টারনেট ব্যবহারে দায়িত্বশীল করে তোলা। অন্যথায় যতই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হোক না কেনো বিপদের আশঙ্কা থেকেই যাবে।

‘সাইবারবুলিইং’ কী তা আপনার সন্তানকে বোঝাতে হবে। কারও সঙ্গে ‘সাইবারবুলিইং’ না করার শিক্ষা দিতে হবে। পাশাপাশি এর শিকার হলে তা সামলানোর পথও দেখাতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888