শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৮ অপরাহ্ন
বিশেষ প্রতিবেদক : উখিয়ায় বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ‘তিন রোহিঙ্গা’ নিহত হয়েছে। বিজিবির দাবি; বন্দুকযুদ্ধে নিহত রোহিঙ্গারা মাদক কারবারে জড়িত ছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে ৩ লাখ ইয়াবা, দেশিয় তৈরি পাইপগান ২টি ও ৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার ভোরে উখিয়ার তুলাতলী সীমান্তের জলিলের গোদা ব্রীজের পাহাড়ি এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধে ঘটনা ঘটে জানান কক্সবাজারস্থ বিজিবির ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল আবু হায়দার আজাদ আহমেদ।
নিহতরা হলেন বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি তমব্রু সীমান্তের কোনারপাড়া রোহিঙ্গা শিবিরের মৃত জুলুর মল্লুকের ছেলে নুর আলম (৪৫), উখিয়া বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরের ক্যাম্প-১ জি/২৯ ব্লকের মো: গোড়া মিয়া ছেলে মোঃ হামিদ ও উখিয়ার কুতুংপালং রোহিঙ্গা শিবিরের ক্যাম্প-২ ডি/৪ ব্লকের মো: সৈয়দ হোসেনের ছেলে নাজির হোসেন (২৫)।
বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল আবু হায়দার আজাদ আহমেদ বলেন, কতিপয় ইয়াবা কারবারিরা বিপুল পরিমাণ ইয়াবা নিয়ে মিয়ানমান হতে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে এমন সংবাদের ভিত্তিতে আমার নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি বিজিবির টহল দল তুলাতলী জলিলের গোদা ব্রীজের রাস্তার ঢালুতে অবস্থান নেয়। পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার ভোরে ১০/১২ জনের ১টি দল পাহাড়ি এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে আসতে দেখে তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে অস্ত্র-সস্ত্র দিয়ে বিজিবির টহল দলকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে। এসময় বিজিবিও তাদের জানমাল রক্ষার্থে পাল্টা গুলি করে। এক পর্যায়ে অজ্ঞাতনামা ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পার্শ্ববর্তী পাহাড়ি জঙ্গলের ভেতরে পালিয়ে যায়। পরে টহল দল ঘটনাস্থলে অজ্ঞাতনামা ৩ জন ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত ব্যক্তি, ইয়াবা সদস্য বস্তু ও দেশিয় তৈরি পাইপগান পড়ে থাকতে দেখে। এরপর আহত ব্যক্তিদের জীবন রক্ষার্থে চিকিৎসার জন্য উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের নাম ও ঠিকানা পাওয়া যায়।
‘এছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে ৩ লাখ পিস ইয়াবা, দেশিয় তৈরি পাইপগান ২টি ও ৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।’
বিজিবি কর্মকর্তা আরও বলেন, গোলাগুলির ঘটনায় ২জন বিজিবি সদস্য আহত হয়। তাদেরকে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়। আর বিজিবি বিষয়টি উখিয়া থানাকে অবহিত করলে পুলিশের একটি দল উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হতে মৃত ব্যক্তিদের ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করেন।
উল্লেখ্য, গত ১ জানুয়ারি হতে ০৯ জুলাই পর্যন্ত বিজিবির ৩৪ ব্যাটালিয়ন অভিযান চালিয়ে ১১ লাখ ৪১ হাজার ২৯৭ পিস ইয়াবাসহ ৮৯ জন কে আটক করে। এছাড়াও বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় ৯ জন ইয়াবা ব্যবসায়ী।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply