শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
টেকনাফ ছাড়াও এবার নতুন করে উখিয়া-নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ভেসে আসছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ চকরিয়ায় জেলা পরিষদের জমিতে নির্মিত আওয়ামী লীগের অফিস উচ্ছেদ সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিটি গঠণ সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে কক্সবাজার শহরে এসে সেন্টমার্টিন দ্বীপবাসির সড়ক অবরোধ পাহাড়ী আস্তানা থেকে মালয়েশিয়া পাচারকালে শিশুসহ ৩১ জন উদ্ধার, দুই দালাল আটক সাবের মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর পিএস ফিরোজ কক্সবাজারে গ্রেপ্তার মিয়ানমারের বাঘগুনা খালের পাশে রয়েছে নিমার্ণ সামগ্রী ও দুইটি ট্রলার, মাঝি-মাল্লা সহ ১১ জনের হদিস নেই মিয়ানমারের উপজাতি সম্প্রদায়ের ৬৫ নাগরিকের অনুপ্রবেশ চকরিয়ায় কিশোরকে ছুরিকাঘাত : আটক ৪ চকরিয়ায় ফেরিওয়ালার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

গানের পাশাপাশি পড়ালেখাতে মনোযোগী ছিলেন এন্ড্রু কিশোর

প্রথম আলো : শুধু গান নিয়েই একটা জীবন কাটিয়ে দিলেন এন্ড্রু কিশোর। গানই ছিল তাঁর জীবন, গানই প্রাণ। গান তাঁর প্রাণে মিশে গেছে শৈশব থেকে। তখন তিনি তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। 

মূলত গান শিখতেন বড় বোন ডা. মার্সেলা শিখা বিশ্বাস। ওস্তাদ আবদুল আজিজ বাচ্চুর কাছেই শিখতেন তিনি। বড় বোন যখন হারমোনিয়াম নিয়ে বসতেন, এন্ড্রু কিশোর চুপ করে বসে থাকতেন পাশে। তবলা বাজাতেন বড় ভাই। দুই বড় ভাইবোন হারমোনিয়াম–তবলা নিয়ে অনুশীলন করতেন। দিনের পর দিন এভাবে চলছিল। কিন্তু একসময় বড় দুজনকেই পাঠিয়ে দেওয়া হলো বরিশালে বোর্ডিং স্কুলে। এ প্রসঙ্গে প্রথম আলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এন্ড্রু কিশোর বলেছিলেন, ‘আমরা ছিলাম নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার। একসঙ্গে তিন ভাইবোনের লেখাপড়ার খরচ চালানো খুব সমস্যা। এ কারণে দুই ভাইবোনকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল বোর্ডিং স্কুলে।’ দুই ভাইবোন বরিশালে যাওয়ার পর ওস্তাদ আবদুল আজিজ বাচ্চু বাবাকে বললেন, তাহলে ছোট্ট এন্ড্রুকেই দিয়ে দেওয়া হোক গান শেখার জন্য।

আশির দশকে গানের অনুশীলনে। ছবি: সংগৃহীত
আশির দশকে গানের অনুশীলনে।

বাবা সংগীতের মোটামুটি সমঝদার ছিলেন। তিনি হাসিমুখে রোজ সাইকেলে করে ছেলেকে সুরবাণী সংগীত বিদ্যালয়ে ওস্তাদজির কাছে গান শেখাতে নিয়ে যাওয়ার কাজটা খুব আগ্রহ নিয়েই করতে লাগলেন। ’৬৪ সালে এভাবেই সংগীতের হাতেখড়ি হয়েছিল এন্ড্রুর। এরপর মন দিয়ে শুধু দুটি জিনিসই করে যেতে হয়েছে তাঁকে—লেখাপড়া আর সংগীত।

গান আর লেখাপড়া সমানতালে চলছিল। কোনোটায় ছাড় দেননি এন্ড্রু। লেখাপড়া বলতে শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নয়, সত্যিকারের মানুষ হওয়ার শিক্ষাটাও নিয়েছিলেন পারিবারিকভাবে। এভাবে অনার্স ফাইনালে। অনার্সের শেষ বর্ষে মৌখিক পরীক্ষা নিতে ঢাকার এক অধ্যাপক গেছেন। এন্ড্রুকে তাঁর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে গর্বিত ভঙ্গিতে রাজশাহী সিটি কলেজের অধ্যক্ষ খুব গর্বিত ভঙ্গিতে বললেন, ‘এ হচ্ছে আমাদের ছাত্র। সিনেমায় গান গায়।’ শুনে অধ্যাপক বললেন, ‘বাহ, তাহলে ও মাস্টার্সটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই করুক। তাহলে ওর গানের জন্যও সুবিধা হবে।’

এন্ড্রু কিশোর। ছবি: প্রথম আলো
এন্ড্রু কিশোর।

শিক্ষক প্রস্তাব দিলেন, ভালো সুযোগ বলা যায়। তবে কাজে লাগানো গেল না মায়ের জন্য। মা সব সময় বলতেন, ‘মাস্টার্স শেষ করার আগে আমি তোকে ছাড়ছি না।’ ফলে মাস্টার্সের জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েই ব্যবস্থাপনাতে ভর্তি হয়ে যেতে হলো এন্ড্রুকে। এ প্রসঙ্গে জীবনকালে স্মৃতিচারণায় এন্ড্রু বলেছিলেন, ‘মা আমাকে খুব ভালো একটা শিক্ষা দিয়েছেন জীবনে, তিনি শিখিয়েছিলেন, লেখাপড়াটা জীবনে খুব দরকারি জিনিস। শুধু একাডেমিক শিক্ষা নয়, মনুষ্যত্বের শিক্ষাও। শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতেও শিক্ষাটা আমার খুব কাজে এসেছে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888