শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৩ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
টেকনাফ ছাড়াও এবার নতুন করে উখিয়া-নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ভেসে আসছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ চকরিয়ায় জেলা পরিষদের জমিতে নির্মিত আওয়ামী লীগের অফিস উচ্ছেদ সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিটি গঠণ সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে কক্সবাজার শহরে এসে সেন্টমার্টিন দ্বীপবাসির সড়ক অবরোধ পাহাড়ী আস্তানা থেকে মালয়েশিয়া পাচারকালে শিশুসহ ৩১ জন উদ্ধার, দুই দালাল আটক সাবের মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর পিএস ফিরোজ কক্সবাজারে গ্রেপ্তার মিয়ানমারের বাঘগুনা খালের পাশে রয়েছে নিমার্ণ সামগ্রী ও দুইটি ট্রলার, মাঝি-মাল্লা সহ ১১ জনের হদিস নেই মিয়ানমারের উপজাতি সম্প্রদায়ের ৬৫ নাগরিকের অনুপ্রবেশ চকরিয়ায় কিশোরকে ছুরিকাঘাত : আটক ৪ চকরিয়ায় ফেরিওয়ালার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

‘রাখাইনে সংঘাতের পরিবেশ তৈরি করছে মিয়ানমার’

বাংলা ট্রিবিউন : মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী আরাকান আর্মি দমনের জন্য রাখাইনে সংঘাতপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করছে এবং ক্লিয়ারেন্স অপারেশনের নামে সেখানে সহিংসতা চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।  রবিবার ( ৫ জুলাই) সিআরআই আয়োজিত রোহিঙ্গা ও কোভিড-১৯ বিষয়ক এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র সচিব এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, গত কয়েক মাস মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘাতময় পরিবেশ তৈরি করেছে। ক্লিয়ারেন্স অপারেশনের নামে সেখানে সহিংসতা চালাচ্ছে। এর ফলে বেসামরিক জনগণ হতাহত এবং একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এটি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরির ক্ষেত্রে সহায়ক নয়।

মাসুদ বিন মোমেন বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত যে চুক্তিগুলি রয়েছে সেগুলির অগ্রগতি কোভিডের কারণে ধীর হয়ে গেছে। তবে আমরা চেষ্টা করছি কিভাবে বেগবান করা যায়। আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে মিয়ানমারের দেওয়া রিপোর্ট যাচাই-বাছাই চলছে জানিয়ে সচিব বলেন, কিন্তু মাঠ পর্যায়ে উন্নতি দেখা যাচ্ছে না। আন্তর্জাতিক অপরাধ কোর্ট ও আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালত দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, যারা অপরাধ করেছে তাদের শাস্তি না হলে রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার বিষয়ে অনাগ্রহ থাকবে।’

ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের পাঠানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ভাসানচর কোভিডের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। এখন পর্যন্ত সরকার ৩০০ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছে ভাসানচরের জন্য। অধিক ঘনবসতি, রোগ সংক্রমণের আশংকা, ভূমিধ্বস, মানবপাচার, মাদক ও ছোট আগ্নেয়াস্ত্র চোরাচালান ক্যাম্পগুলির জন্য বড় ঝুঁকি এবং সেখানকার যুব সমাজ উগ্রবাদের দিকে ঝুঁকে পড়ার আশঙ্কা আছে বলে জানান পররাষ্ট্র সচিব।  তিনি বলেন, এত বেশি ঝুঁকি একটা ছোট জায়গাতে। সে কারণে বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেখানে জনবহুলতা কমানো হবে। আমরা ঝুঁকি কমাতে চাই। এজন্য ভাসনচরে কাজ শুরু করলাম এবং সেখানে তিন শতাধিক রোহিঙ্গা আছে।  আমরা দেখলাম ঘূর্ণিঝড় আম্পানে সেখানে কিছুই হয়নি। সুতরাং আগামীতে আমরা আরও রোহিঙ্গাদের সেখানে নিয়ে যেতে চাই।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888